কলকাতা: কেরলের ওয়েনাড়ে ভূমিধসের (LandslideWayanad) ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫০। এখনও ধ্বংসস্তূপের নীচে বহু মানুষের আটকে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। শতাধিক মানুষকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। ধসের জেরে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিস্তৃর্ণ এলাকা। রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় বহু এলাকায় পৌঁছতে পারেননি উদ্ধারকারীরা। এর মধ্যে মৌসম ভবন ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে। ওয়েনাড় এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। ফলে উদ্ধারকাজে বৃষ্টি বাধ সাধতে পারে বলে মনে করছেন উদ্ধারকারীরা। ওয়েনাড়বাসীর পাশে দাঁড়াতে সেখানে যাচ্ছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi), প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা (Priyanka Gandhi Vadra)।
কেরলের মুন্ডাক্কাই, ছুরালমালা, আট্টামালা, নুলপুঝা এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বহু রাস্তা ধসে গিয়েছে। ধসের জেরে নিশ্চিহ্ন হয়ে পড়েছে গ্রামের পর গ্রাম। ভেসে যায় একাধিক গাড়ি, ভেঙে গিয়েছে রাস্তা, সেতু। নদীতে ভাসতে দেখা যাচ্ছে মৃতদেহ। পরিস্থিতি বুঝে সেনাবাহিনীকে আগেই নামানো হয়েছিল। মঙ্গলবার বিকালের দিকে নামানো হয়েছে নৌসেনা ও বায়ুসেনাকেও। রাজ্য ও কেন্দ্র দুই তরফেই যৌথভাবে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। ভারী বৃষ্টির জন্য ব্যহত হচ্ছে উদ্ধার কাজ। একটি সেতুও ভেঙে পড়েছে। ওয়েনাড়ের মেপ্পাড়ি এলাকায় ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত ১৫১ জনের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এখনও পর্যন্ত অস্থায়ী সেতু বানিয়ে হাজারের বেশি মানুষকে উদ্ধার করেছ সেনা। ওয়েনাড়ে ৪৫টি ত্রাণ শিবির গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন ৩ হাজার ৬৯ মানুষ।
আরও পড়ুন: অনুরাগের জাত তুলে গালাগাল, মাস্টারমাইন্ড কে!
দুর্যোগ এবং ভারী বৃষ্টির সতর্কতার কারণে কেরলের বিভিন্ন জেলায় বুধবার স্কুল-কলেজ বন্ধের ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে বৃহস্পতিবারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকতে পারে বলে সরকারি সূত্রে খবর। ভূমিধসে মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দু’দিনের শোক পালনের ডাক দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন (Pinarayi Vijayan)।
অন্য খবর দেখুন