রাঁচি: ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) ১৪তম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ (Oth) নিলেন হেমন্ত সোরেন Hemant Soren) । বৃহস্পতিবার ৪৯ বছর বয়সী এই আদিবাসী নেতাকে শপথবাক্য পাঠ করান ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল সন্তোষ কুমার গাঙ্গওয়ার। সমগ্র অনুষ্ঠানটি হয় মোরাবাদি গ্রাউন্ডে। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সোরেনের পরনে ছিল সাদা কূর্তা, পায়জামা, নেহরু জ্যাকেট। অনুষ্ঠানজুড়ে ছিল কড়া নিরাপত্তা।
ঐতিহ্যবাহী পোশাকে আদিবাসী দলগুলি অনুষ্ঠানস্থলে ‘ঢোল ও নাগারা’র তালে নৃত্য প্রদর্শন করে। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ঘিরে স্কুলগুলিতে আজ ছুটি দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মুম্বই দখলে রাখতে চান উদ্ধব, বিধানসভায় হেরে কংগ্রেসের সঙ্গ ছাড়বেন?
শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে, সোরেন এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘ঐক্য হল রাজ্যের জনগণের সবচেয়ে বড় অস্ত্র, যাকে বিভক্ত বা নীরব করা যায় না। যখনই তারা আমাদের পিছনে ঠেলে দেয়, আমরা এগিয়ে যাই। যখনই তারা আমাদের স্তব্ধ করার চেষ্টা করে, তখনই আমাদের বিদ্রোহ ও বিপ্লবের কণ্ঠস্বর উচ্চতর হয় কারণ আমরা ঝাড়খণ্ডি, এবং ঝাড়খণ্ডীরা মাথা নত করে না’। সোরেনের আরও সংযোজন আমাদের লড়াই দৃঢ় এবং অবিরাম। সংগ্রাম অব্যাহত রয়েছে এবং শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। “তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে দিনটিকে ঐতিহাসিক হিসাবে উল্লেখ করে বলেন, আমাদের সম্মিলিত সংগ্রাম”, “ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্বের চেতনা, এবং ন্যায়বিচারের প্রতি ঝাড়খণ্ডীদের প্রতিশ্রুতিকে আরও শক্তিশালী করবে। সোরেন লেখেন, যখন সামাজিক কাঠামোতে “গভীর ফাটল” উঠছে, তখন ঐক্যের জন্য সমাধান করা দরকার।‘
এদিন হেমন্তর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল ইন্ডিয়া জোটের অধিকাংশ শরিক দলই। হাজির ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী, এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার, পঞ্জাবের আপ মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান, হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু, আম আদমি পার্টির আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল, উদ্ধব ঠাকরে, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব, পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি, সিপিআই (এমএল) লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, বিহারের বিরোধী দলের নেতা তেজস্বী যাদব প্রমুখ।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ৩৯ হাজার ৭৯১ ভোটের ব্যবধানে বারহাইত আসনে জয় পেয়েছেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) প্রধান হেমন্ত সোরেন। এই নিয়ে চতুর্থবার মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসলেন হেমন্ত সোরেন। জেএমএম-এর নেতৃত্বাধীন জোট ভোটে ৮১টি আসনের মধ্যে ৫৬টি আসনে জয় পেয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ ২৪টি আসনে জিতেছে।