নয়াদিল্লি: দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) সংসদ চত্বরে গণ্ডগোলের ঘটনায় রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) ডাকতে চলেছে। জখম হওয়া দুই বিজেপি (BJP) সাংসদের বিবৃতি রেকর্ড করা হবে। সংসদের সচিবালয়ের কাছে সিসিটিভি (CCTV) ফুটেজ চাইবে দিল্লি পুলিশ। ওই মামলা ক্রাইম ব্রাঞ্চে পাঠানো হবে। গতকাল সংসদে চত্বরে গণ্ডগোলে জড়ানোয় দিল্লি পুলিশ রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে। বিরোধী ও এনডিএর সাংসদরা পৃথকভাবে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। সেই ঘটনায় রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। সেই প্রসঙ্গে প্রিয়াঙ্কা বলেন, এটি সরকারের হতাশা। এটি ভুয়ো এফআইআর। রাহুল গান্ধী কাউকে ধাক্কা দিতে পারে না। আমি তাঁর বোন। আমি এটা জানি। বাস্তব পক্ষে দেশ এটা জানে। দেশ লক্ষ্য করছে তারা বেপরোয়া হয়েছে। তারা আদানি সম্পর্কে আলোচনা চায় না। দেশ আম্বেদকরকে অপমান করা মানবে না। কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি শুক্রবার রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে এফআইআরের নিন্দা করেন। তিনি বলেন, এটা ক্রিমিনাল আইনের অপব্যবহার। যাঁরা সংবিধানের স্থাপত্যের অপমান করেছেন তাঁদের ইস্তফা দেওয়া উচিত।
এদিকে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, সংসদ ভবনের সামনে কোনও রাজনৈতিক দল, সাংসদরা ধরনা দিতে পারবেন না। শুক্রবার সমাপ্ত হল লোকসভার শীতকালীন অধিবেশন। শেষ দিনেও গণ্ডগোলের জেরে অচল হয়ে গেল সংসদ। এবার ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া সংসদের শীতকালীন অধিবেশন বারবার আদানি থেকে জর্জ সোরোস কাণ্ডে অচল হয়ে যায়। প্রায় ৫৭ শতাংশ সফল সংসদ। তার মানে ৪৩ শতাংশ কাজ হল না। বি আর আম্বেদকর ভারতের সংবিধান রচনা করেছিলেন। দেশের আইনসভার শেষ দিনের অধিবেশনও এবার আম্বেদকর ইস্যুতে অচল হয়ে গেল! সৌজন্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আম্দেকরকে নিয়ে একটি মন্তব্য। যার তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়। এদিন বিরোধী সাংসদরা বিজয়চক থেকে সংসদ পর্যন্ত মিছিল করল। তাঁরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ইস্তফা দাবি করে।
আরও পড়ুন: কেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হল? জেনে নিন
দেখুন অন্য খবর: