নয়াদিল্লি: প্রায়ই বিমানে অপ্রীতিকর ঘটনার সাক্ষী থাকেন যাত্রীরা। বিমানে মহিলা যাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করে দেওয়ার মতো ঘটনা থেকে একে অপরের সঙ্গে হাতাহাতিও ঘটেছে। এছাড়াও আছে বিমানসেবিকা থেকে শুরু করে মহিলাযাত্রীদের সঙ্গে অভব্য আচরণ। এবার বিমানে অপ্রীতিকর ঘটনা সাক্ষী থাকলেন সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি। উড়ানে ২০২২ সালে বিমানে প্রস্রাব করে দেওয়ার মামলার শুনানি করতে গিয়ে এই তাঁদের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা আদালতে শোনালেন বিচারপতি।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথন মঙ্গলবার বলেন, সম্প্রতি তিনি ও তাঁর সঙ্গে বিমানে ভ্রমণ করছিলেন অপর বিচারপতি সুর্যকান্ত। বিমানে দুজন মদ্যপের পাল্লায় পড়তে হয়েছিল তাঁদের।
আরও পড়ুন: চিড়িয়াখানায় দর্শকরা থাকবে কাচের টানেলে, আর ওরা বাইরে
বিচারপতি বিশ্বনাথন পুরো ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, সম্প্রতি তাঁদের দুই বিচারপতিকে বিমানে এক অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়। একজন পুরুষ যাত্রী পুরোপুরি মত্ত অবস্থায় ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন বিমানের বাথরুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। অপর মদ্যপ ব্যক্তি বাথরুমে বাইরে দাঁড়িয়ে ব্যাগের বমি করতে থাকেন। বিমানে ক্রু রা সবাই মহিলা ছিলেন। প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট বাথরুমের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। আমার সহযাত্রী ক্রুকে অনুরোধ করেন, বাথরুম থেকে ওই যাত্রীকে বের করে আনার জন্য। আমাদের বিমানযাত্রা ছিল প্রায় আড়াইঘণ্টার বেশি। তার মধ্যে প্রায় আধঘণ্টা ধরে এই অবস্থা সহ্য করতে হয়েছিল।
শুনানি চলছিল বিচারপতি বি আর গাভাই ও বিচারপতি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চে। এদিন বিচারপতি বিশ্বনাথন সলিসিটার জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটিকে বলেন, বিমান কর্তৃপক্ষে উচিত একটু সুষ্ঠু সমাধান খুঁজে বের করা, যাতে যাত্রীদের এই ধরনের অবাঞ্ছিত ঝামেলা পোহাতে না হয়। এই ধরনের যাত্রীদের জন্য আলাদা বসার জায়গার ব্যবস্থা করা হোক।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের নভেম্বরে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানে ভ্রমণ করছিলেন এক ৭২ বছরের বৃদ্ধা যাত্রী। এক পুরুষ সহযাত্রী তাঁর গায়ে মদ্যপ অবস্থায় প্রস্রাব করে দেন। বিমানটি নিউ ইয়র্ক থেকে দিল্লি আসছিল। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত শঙ্কর মিশ্রকে। বিজনেস ক্লাসে এই ঘটনা ঘটে।
দেখুন অন্য খবর: