কলকাতা: ভয়াবহ অবস্থায় বাংলাদেশের (Bangladesh) পরিস্থিতি। পোড়ানো হচ্ছে হিন্দুদের ঘরবাড়ি,মন্দির। শুক্রবার চট্টগ্রামে জুমার নামাজের পর শান্তনেশ্বরী মন্দিরে হামলা চালিয়েছে মৌলবাদীরা। হিন্দুদের দোকান ও বাড়িতে হামলা চালানো হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে। ঘটনায় অনেকে আহত হয়েছেন। গত সোমবার ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণদাসের (Priest Chinmoy Krishna Das) গ্রেফতারির পর থেকেই উত্তাল পদ্মাপার। দিকে দিকে প্রতিবাদে নেমেছে হিন্দুরা। এক আইনজীবীর মৃত্যুতেও উত্তপ্ত হয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা। গ্রেফতারির প্রতিবাদে হিন্দু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা প্রতিটি জেলায় শান্তিপূর্ণ সভা সমাবেশ করে। তবে, এই শান্তিপূর্ণ সভাগুলিতে চরমপন্থী দলগুলি আক্রমণ চালায়। চট্টগ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়েছে মৌলবাদীরা।
আরও পড়ুন:দেউলিয়া হওয়ার পথে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান! বলছে বিশ্বব্যাঙ্ক
হাজার হাজার বাংলাদেশি হিন্দু তাদের অধিকার ও নিরাপত্তার দাবিতে চট্টগ্রামে রাস্তায় নেমে আসে। অভিযোগ উগ্রবাদী ও মৌলবাদীরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনরত জনগণের ওপর হামলা চালালেও প্রশাসন ও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। প্রশাসন নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে সে বসবাসকারী হিন্দুরা টার্গেট হয়েছে। বেছে বেছে হিন্দু বাড়ি ঘর ও তাদের ধর্মীয় স্থানগুলোতে হামলা চালানো হচ্ছে। চলছে খুন-লুঠ, বাদ যাচ্ছেন না মহিলারাও। অত্যাচারিত হচ্ছে মহিলারা। অনেকেই আতঙ্কে ঘর থেকে বাড়ির বাইরে পা রাখছেন না। ছেড়েছেন নিজেদের বাসস্থান। হিন্দুদের উপর হামলার ঘটনা নিয়ে সংসদে দেওয়া বিবৃতিতে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে সতর্ক করল ভারত। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছেন। হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর যে আক্রমণ চলছে তাতে ভারত শীর্ষ স্তর থেকেই এ বার সতর্ক করল মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারকে। বলা হয়েছে, নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে হবে সে দেশের প্রসাশনকে।
অন্য খবর দেখুন