নয়াদিল্লি: আনোয়ার আলী, ইস্টবেঙ্গল ও দিল্লি এফসির বিরুদ্ধে ১২.৯ কোটির জরিমানা খারিজ করল দিল্লি হাইকোর্ট। কোনও কারণ না দেখিয়েই অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত স্বাভাবিক সুবিচারের পরিপন্থী বলে অভিমত বিচারপতি সঞ্জীব নারুলার।
ত্রিপাক্ষিক ‘প্লেয়ার লোন’ চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগে আনোয়ার আলী সহ ইমামি ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব এবং দিল্লি এফসিকে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন ১২.৯ কোটি টাকা জরিমানা করে। কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তার স্পষ্ট কারণ দেখানো দরকার। কিন্তু এআইএফএফ তার সিদ্ধান্ত ঘোষণার সঙ্গে কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তার বিস্তৃত কোনও কারণ দেখায়নি। এমন পদক্ষেপ স্বাভাবিক সুবিচারের পরিপন্থী। যাকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে, তাঁর বক্তব্য সুস্পষ্ট ভাবে শোনা এবং বলার সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু এর কোনওটাই এক্ষেত্রে হয়নি বলে ১৩ সেপ্টেম্বরের রায়ে উল্লেখ করেছেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন: জলমগ্ন কঙ্কালীতলা মন্দির, কোপাই নদীতে ভাসছে সেতু
প্রসঙ্গত, দিল্লি এফসি থেকে আনোয়ার আলী প্লেয়ার লোন চুক্তি অনুযায়ী চার বছরের জন্য মোহনবাগানে যান। কিন্তু চুক্তি ভঙ্গ করে ৮ জুলাই আনোয়ার আলী ফিরে যান দিল্লি এফসিতে এবং তারপরেই ১০ জুলাই ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে ট্রান্সফার নেন। এই প্রেক্ষাপটে মোহনবাগান এআইএফএফ প্লেয়ারস স্ট্যাটাস কমিটিতে অভিযোগ জানায়। এই সূত্রেই ওই কমিটি জরিমানা ধার্য করে। আনোয়ার আলী চার মাস কোন ম্যাচ খেলতে পারবেন না এবং সেই সঙ্গে সঙ্গে দিল্লি এফসি ও ইস্টবেঙ্গল আগামী দুটি প্লেয়ার ট্রান্সফার উইন্ডোতে খেলোয়াড় নিতে পারবে না বলেও ঘোষণা করা হয়। কমিটির এই দুই সিদ্ধান্ত আনোয়ার আলী, দিল্লি এফসি ও ইস্টবেঙ্গল দিল্লি হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করে। সাজা দেওয়ার কারণ জানানোর জন্য দু’বার কমিটির কাছে আবেদন করা সত্ত্বেও তা বলা হয়নি বলে অভিযোগ পেশ হয় আদালতে।
কমিটি আদালতকে জানায়, সাজা দেওয়ার কারণ জানানোর প্রক্রিয়া চলছে। পরে আদালতের প্রস্তাব মত কমিটি নতুন করে আবেদনকারীদের বক্তব্য শুনতে রাজি হয়েছে। জানানো হয়, ঘোষিত নির্দেশ প্রত্যাহার করে নতুন করে বক্তব্য শোনার পর রায় ঘোষণা করা হবে।