কলকাতা টিভি ডিজিটাল: মাঝখানে দু’দিন কেটে গিয়েছে। এখনও যেন বিশ্বকাপ ফাইনালের ঘোর কাটছে না। ‘আহা কী হেরিলাম’ ভাব এখনও সবার মধ্যে। যে কোনও দলের সমর্থকই স্বীকার করবে, লুসেইল স্টেডিয়ামে (Lusail Stadium) আর্জেন্টিনা (Argentina) এবং ফ্রান্সের (France) দ্বৈরথের মতো রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ স্মরণকালের মধ্যে হয়নি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এটাই কি সর্বকালের সেরা বিশ্বকাপ ফাইনাল? হ্যাঁ, একদম তাই। সেই ১৯৩০ সাল থেকে শুরু, আজ ২০২২। মোট ২২টা বিশ্বকাপের ২২টা ফাইনাল হয়েছে। সেরা মনে করা হচ্ছে সাম্প্রতিকতমকেই।
সেরা বলা হবে নাই বা কেন? জমজমাট ম্যাচ হয়ে ওঠার সমস্ত মালমশলা মজুত ছিলই। একদিকে লাতিন আমেরিকার (Latin America) প্রতিনিধি, উল্টো দিকে ইউরোপের (Europe) দেশ। একদিকে নতুন প্রজন্মের সেরা ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপে (Kylian Mbappe), তো বিপরীতে সর্বকালের অন্যতম সেরা লিওনেল (Lionel Messi) মেসি। মেসি কি শেষ পর্যন্ত অধরা মাধুরী স্পর্শ করেই আন্তর্জাতিক কেরিয়ার শেষ করবেন, নাকি তারুণ্যের জোয়ারে পরপর দু’বার কাপ হাতে নেবেন এমবাপে, এমন নানাবিধ প্রশ্ন ছিল ম্যাচের আগে।
আরও পড়ুন: Karim Benzema: দুর্ভাগ্যকে সঙ্গী করেই আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিলেন করিম বেঞ্জেমা
যতটা রোমাঞ্চকর ভাবা হয়েছিল, তার চেয়েও রোমাঞ্চকর খেলা হল ফাইনালে। হলিউডের নামী পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গের (Steven Spielberg) ছবিও এত রোমহর্ষক হতে পারে কি না সন্দেহ। এমন চিত্রনাট্য এক ঈশ্বরের পক্ষেই লেখা সম্ভব। সবকিছু হল ফাইনালে। অনেকগুলো গোল, রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক, তিনটে পেনাল্টি, দুরন্ত গোলকিপিং, পরতে পরতে ম্যাচের নাটকীয় পট পরিবর্তন, শেষে টাইব্রেকার। সেই সঙ্গে লিওনেল মেসির স্বপ্নপূরণ, সর্বকালের সেরা হিসেবে হিসেবে উত্তরণ এবং হ্যাটট্রিক করেও ট্র্যাজিক নায়কে পর্যবসিত হওয়া। এত উত্তেজক উপাদান আর কোনও বিশ্বকাপে দেখা যায়নি।
১৯৫০ সালে ব্রাজিলকে (Brazil) হারিয়ে উরুগুয়ের (Uruguay) কাপ জয়, চার বছর পর ফেভারিট হাঙ্গেরিকে (Hungary) হারিয়ে জার্মানির (Germany) প্রথম কাপ জয়, ছিয়াশির ফাইনালে পশ্চিম জার্মানিকে হারিয়ে মারাদোনার (Diego Maradona) বিজয়ী হওয়া এবং আরও অনেক টানটান ম্যাচ হয়েছে। কিন্তু ২০২২ সালের পাশে সেসব নিতান্তই সাদামাটা।