ইন্দোর: ৯০ রানে জিতল ভারত। একদিনের সিরিজ পকেটস্থ করল কিউয়িদের ৩-০ ব্রাউন ওয়াশ করে। সেই সঙ্গে আইসিসি ক্রমতালিকায় ৫০ ওভার ফর্ম্যাটে এক নম্বর স্থান দখল করল টিম ইন্ডিয়া।
প্রথম ইনিংসে ভারত ৩৮৫ রান করার পরে আশা ছিলই যে টম ল্যাথামের দল গো-হারা হবে। তা-ই হল। নিউজিল্যান্ডের ইনিংস ভাঙলেন প্রধানত শার্দূল ঠাকুর এবং কুলদীপ যাদব। ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার পেলেন শার্দূল। দুজনেই তিনটে করে উইকেট নিলেন। তবে নিউজিল্যান্ডকে আশা দেখিয়েছিলেন ডেভন কনওয়ে। ১০০ বলে ১৩৮ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন তিনি। তাঁকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান মহম্মদ শামির জায়গায় খেলা উমরান মালিক।
আরও পড়ুন: White Card: হলুদ বা লাল কার্ড নয়, এবার সাদা কার্ড দেখালেন রেফারি
তবে খেলার ফলাফল মোটামুটি প্রথমার্ধেই লেখা হয়ে গিয়েছিল। শুভমান গিল আর রোহিত শর্মার সেঞ্চুরি নিউজিল্যান্ডকে ব্যাকফুটে পাঠিয়ে দিয়েছিল। অধিনায়ক রোহিত শর্মার ফর্ম নিয়ে অনেকে অনেক কথাই বলছিলেন। ৮৫ বলে ১০১ রানের ইনিংসে সবাইকে জবাব দিলেন তিনি। হিটম্যান (Hitman) যে ফর্মে ফিরেছেন তা বলাই বাহুল্য। ২০০২ সালের পর এই ফর্ম্যাটে শতরান করলেন তিনি। ওডিআইতে এটি তাঁর ৩০ নম্বর সেঞ্চুরি। এদিন কিউয়ি বোলারদের ইচ্ছেমতো পেটালেন। তাঁর ১০১ রানের ইনিংসে ছিল ন’টা চার এবং ছ’টা ছয়। আজকে মনে হচ্ছিল হয়তো আবার ডাবল সেঞ্চুরি করবেন রোহিত, কিন্তু স্পিনার মাইকেল ব্রেসওয়েলকে তুলে মারতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান তিনি।
স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন শুভমান গিল। ৫০ ওভারের ফর্ম্যাটে নিজের জায়গা আগেই পাকা করে ফেলেছিলেন তিনি, এদিন সিমেন্ট ওয়াশ করে দিলেন। এর মধ্যেই চারটে শতরান হয়ে গেল তাঁর। সিরিজের প্রথম ম্যাচে করেছিলেন ২০৮, আজ মাত্র ৭২ বলে সেঞ্চুরি করলেন। শেষ পর্যন্ত ৭৮ বলে ১১৩ রান করে আউট হলেন শুভমান। তাঁর ইনিংসে ছিল ১৩টি চার এবং পাঁচটি ছয়।