১৯৯৯ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি। শীতে জাকিয়ে বসেছিল রাজধানীতে। কিন্তু ভারতীয় স্পিনার অনিল কুম্বলের (Anil Kumble) দুরন্ত পারফরম্যান্স কিছুক্ষণের জন্য হলেও উষ্ণতা বাড়িয়ে দিয়েছিল। ২৪ বছর আগে আজকের দিনেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এক ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়ে অনন্য নজির গড়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের 'জাম্বো'। এর আগে একমাত্র ইংল্যান্ডের বোলার জিম লেকার এই কীর্তির অধিকারী ছিলেন।
প্রথমে সইদ আনোয়ার এবং শাহিদ আফ্রিদির মধ্যে ১০১ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ হয়। তখন কেউ চিন্তাও করেনি আজ এই রেকর্ড গড়তে চলেছেন অনিল কুম্বলে। ফিরোজ শাহ কোটলার(বর্তমানে অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম) উইকেট কখনোও খালি হাতে ফেরায়নি কুম্বলেকে। ১৯৯৯ সালের ৭ ফেব্রুয়ারিও এর ব্যতিক্রম ছিল না। ক্রিকেট বিধাতা যেন উপহারের ডালি নিয়ে বসেছিলেন ভারতীয় লেগস্পিনারের জন্য। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্লোজ ইন ফিল্ডার সাজিয়ে আক্রমণ বাড়াতে থাকেন কুম্বলে। আর তাঁর স্পিনের জাদুতে একে একে পরাস্ত হতে থাকেন ইজাজ আহমেদ, ইনজামাম-উল-হক, সেলিম মালিকরা।
এমন শোনা যায়, পাকিস্তানের ৮ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ভারতীয় পেসার জাভাগাল শ্রীনাথ এমন বোলিং করতে থাকেন যাতে কোনওভাবেই উইকেট না আসে। ফিল্ডারদেরও নির্দেশ দেওয়া হয় কুম্বলের ডেলিভারি ছাড়া অন্য ক্ষেত্রে যেন তাঁরা ক্যাচ না ধরেন। উদ্দেশ্য ছিল একটাই। প্রিয় বন্ধুর ১০ উইকেট নেওয়া যেন কোনওভাবেই না আটকায়।
আরও পড়ুন: India vs Australia: স্মৃতির সরণি বেয়ে বর্ডার-গাভাসকর সিরিজ
শীতের গোধূলি বেলায় ফিরোজ শাহ কোটলার স্কোরবোর্ডে কুম্বলের নামের পাশে ২৬.৩-৯-৭৪-১০। অবশ্যই ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবে ৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৯-এই বিশেষ দিনটি।
এখানে আরও একটি বিষয় উল্লেখ্য। কুম্বলে যতবার বোলিং করতে এসেছেন ততবার নিজের পরনের সোয়েটার তিনি শচীনকে দিতেন এবং শচীনে সেই সোয়েটার দিতেন আম্পায়ারকে। এটা চলতেই থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত না কুম্বলের ১০ উইকেট পূর্ণ হয়। একসময় কুম্বলে বারণ করলেও শচীন মানতে রাজি হননি। শচীন বলেন কুম্বলেকে, যখন এটা করে উইকেট আসছে তখন চলতে থাকুক।
শেয়ার করুন