দুবাই: বিসিসিআই-এর (BCCI) আবেদনে সাড়া না দিয়ে পারল না আইসিসি (ICC)। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে (Border-Gavaskar Trophy) ইন্দোরের পিচকে (Indore Pitch) ‘বিলো অ্যাভারেজ’ বলে ঘোষণা করল বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। ইন্দোর টেস্টের পর ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রডের (Chris Borad) রিপোর্ট দেখে প্রথমে ওই পিচকে ‘পুওর’ অর্থাৎ খারাপ তকমা দিয়েছিল আইসিসি। তার জেরে হোলকার স্টেডিয়ামের (Holkar Stadium) খাতায় তিনটে ডিমেরিট পয়েন্ট (Demerit Points) জমা হয়। এরপর শাস্তি কমাতে আইসিসিকে চিঠি লেখে বিসিসিআই।
এরপর ওই ম্যাচের ফুটেজ বিশ্লেষণ করতে বসেন আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার (ক্রিকেট) ওয়াসিম খান (Wasim Khan) এবং আইসিসির ছেলেদের ক্রিকেট কমিটির সদস্য রজার হার্পার (Roger Harper)। পিচ মনিটরিং প্রক্রিয়ার অ্যাপেনডিক্স এ নির্দেশিকা অনুযায়ী তাঁরা দুজনেই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন, খারাপ তকমা দেওয়ার মতো অতিরিক্ত অসমান বাউন্স ইন্দোরের উইকেটে ছিল না। দুই বিশেষজ্ঞের প্যানেল তাই ওই পিচকে ‘বিলো অ্যাভারেজ’ অর্থাৎ গড় মানের নীচে আখ্যা দিয়েছে। এর ফলে তিন ডিমেরিট পয়েন্টের জায়গায় শুধু এক ডিমেরিট পয়েন্ট পাবে হোলকার স্টেডিয়াম।
আরও পড়ুন: Lovlina Borgohain Gold Medal | সোনার মেয়ে লভলিনা রবিবার বক্সিংয়ের স্বর্ণালী সন্ধ্যা উপহার দিল
ম্যাচের পর রিপোর্টে ক্রিস ব্রড জানিয়েছিলেন, ইন্দোরের পিচ ছিল অত্যন্ত শুকনো। ব্যাট এবং বলের কোনও ভারসাম্য ছিল না, প্রথম থেকেই সাহায্য করেছে স্পিনারদের। তিনি আরও জানান, পিচে অতিমাত্রায় অসমান বাউন্স ছিল গোটা ম্যাচ জুড়ে। ব্রডের রিপোর্টেই তিন ডিমেরিট পয়েন্ট জমা হয় ইন্দোরের খাতায়। নিয়মানুযায়ী আগামী পাঁচ বছর এই ডিমেরিট পয়েন্ট সক্রিয় থাকে। এই সময়ের মধ্যে আরও দুই ডিমেরিট পয়েন্ট জমা হলে আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় ১২ মাসের জন্য হোলকার স্টেডিয়ামে কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করা যেত না। তবে সেই বিপদ থেকে উদ্ধার পেয়েছে মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন।
প্রসঙ্গত, আইসিসির নিয়মে পিচ রেটিং ছয় রকমের হয়। খুব ভালো, ভালো, মাঝারি, মাঝারির নীচে, খারাপ এবং আনফিট (Very Good, Good, Average, Below Average, Poor, Unfit)। শেষ তিন রকম পিচের ক্ষেত্রে ডিমেরিট পয়েন্ট প্রযোজ্য। ইন্দোরে আয়োজিত হয়েছিল বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির তৃতীয় টেস্ট ম্যাচ। নাগপুর এবং দিল্লিতে যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় টেস্টেও স্পিন সহায়ক পিচ বানানো হয়েছিল। সেগুলিকে ‘অ্যাভারেজ’ তকমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ইন্দোরের পিচ ছিল অন্য মাত্রার। প্রথম দিন থেকেই বল ঘুরছিল একহাত করে। তার থেকেও ভয়ঙ্কর বিষয়, কোনও বল নিচু হয়ে গোড়ালিতে লাগছিল তো কোনওটা লাফিয়ে বুকে উঠে আসছিল। ব্যাটার তো দূরের কথা, বোলাররাও বুঝতে পারছিলেন না কোন বল কেমন আচরণ করবে।