আহমেদাবাদ: যাঁরা বলেন ক্রিকেটের ময়দানে কোচের চেয়ে অধিনায়কের ভূমিকা বেশি, তাঁরা যে ভুল বলেন তা আবারও প্রমাণ তরে দিলেন ভারতের প্রাক্তন বোলার আশিস নেহরা। প্রথম বছরেই দলের ড্রাইভিং সিটে বসার পর গুজরাত টাইটন্সকে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করেছেন। দলের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া নিজেই তা স্বীকার করে নিয়েছিলেন। তারপর থেমে যাননি নেহরা। এবারের আইপিএলের একই মেজাজে দেখা গিয়েছে তাঁকে। একটুও যেন ছন্দ কাটেনি তাঁর, বয়নো বাড়েনি। কোচ হিসেবে নয় এক খেলোয়াড় হিসেবে দলের সঙ্গে মিশে যেতে দেখা গিয়েছে ভারতের প্রাক্তন বাঁহাতি পেস বোলারকে।
চলতি টুর্নামেন্টে গুজরাতের ডগআউটে নেহরাকে খুব একটা দেখাই যায়নি। অন্য দলের কোচ খেলা চলাকালীন দলের অন্যান্য সদ্যসের সঙ্গে মূলত ডাগাউটে বসে থাকেন। দলের পারফর্ম্যান্স নিয়ে সহকরীদের সঙ্গে হয়ত কথা বলেন বা চুপ করে থাকেন। তবে গুজরাতের মেন্টরকে ডাগআউটে দেখতে পেতেন না কেউই?
আরও পড়ুন: Wrestler Protest | আজ গঙ্গায় পদক ভাসিয়ে দেবেন সাক্ষী-বিনেশরা! তারপর আমরণ অনশন
আসলে খেলা চলাকালীন নেহরা সারাক্ষণ বাইন্ডারি লাইনের ধারে দাঁড়িয়ে থাকতেন। খেলোয়াড়দের সমানে নির্দেশ দিয়ে যেতেন। ভারতের এই প্রাক্তন বোলারকে নিয়ে বহু মানুষ হয়তো রসিকতা করেছেন। তবুও তিনি তাঁর নিজের কাজ বাউন্ডারি লাইনের ওপার থেকে চালিয়ে গিয়েছেন। এভাবেও যে অ্যাক্টিভ থাকা যায়, তা সকলে দেখিয়ে দিয়েছেন আশিস নেহরা।
প্রথম বছরে খেলতে নেমেই আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়া অধিনায়ক হার্দিক বলেছিলেন, “গুজরাতকে নেতৃত্ব দেওয়াই শুধু নয়, সবচেয়ে লাভবান হয়েছি এই দলের কোচের সঙ্গে কাজ করতে পেরে। আশিস ভাই বিরাট পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন আমার জীবনে।“ তবে আশিস নেহরার মত, তিনি কোনও সুপার কোচ নন। সাধারণ মানুষের মতোই তিনি বিপক্ষের বিরুদ্ধে স্ট্র্যাটেজি বানন। আর পরিশ্রম করেন।
হয়তো ২০২৩ আইপিএলের চ্যাম্পিয়ন দল চেন্নাই সুপার কিংস। তবে প্রথম থেকেই দুর্দা্ন্ত ফার্মে ছিল গুজরাত। সবার আগে প্লে-অফে নিজেদের জায়াগা তৈরি করে নিয়েছিলেন হার্দিক পাণ্ডিয়ারা। দলের প্রতিটি খেলোয়াড় নিজেকে প্রমাণ করেছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন ঋদ্ধিমান সাহা, শুভমান গিল, মহম্মদ শামি, রাশিদ খান কিংবা মোহিত শর্মার মতো খেলোয়াড় যিনি আইপিএল থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন। তাই চ্যাম্পিয়ন না হলেও ধারে ভারে গুজরাত টাইটন্স এবারের আইপিএলে রাজ করেছে বলাই চলে।