লন্ডন: ইংল্যান্ডের ওভালে (The Oval) ৭ জুন শুরু হচ্ছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল (WTC Final)। অস্ট্রেলিয়ার (Australia) তারকা ব্যাটার স্টিভ স্মিথ (Steve Smith) আশঙ্কা করছেন, ওভালেও ভারতের (India) মতোই স্পিন সহায়ক পিচ হতে পারে। ইংল্যান্ড বললেই যেমন সুইং বোলিংয়ের উপযুক্ত পরিবেশের কথা মনে আসে, ওভাল তার থেকে একদম আলাদা। দেশটার মধ্যে এই মাঠ সবথেকে ব্যাটিং সহায়ক এবং পরের দিকে যথেষ্ট স্পিন হয়। এরকম উইকেটে রবিচন্দ্রন অশ্বিন (Ravichandran Ashwin) এবং রবীন্দ্র জাদেজা (Ravindra Jadeja) ভারতের তুরুপের তাস হয়ে উঠতে পারেন।
স্মিথ বলছেন, ওভালের পিচে কখনও কখনও বল ঘোরে, বিশেষ করে ম্যাচ যত এগোয়। তাই ভারতের মতো একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারি ওভালে। এরপর অবশ্য স্মিথ বলেন, কিন্তু ওভাল ক্রিকেট খেলার জন্য দারুণ জায়গা। বিদ্যুৎগতির আউটফিল্ড, বিশাল স্কোয়্যার অঞ্চল তাই ব্যাট করার জন্য সুন্দর জায়গা। ইংলিশ মাটি অনুযায়ী ঠিকঠাক গতি এবং বাউন্স আছে। একটা দুর্দান্ত ম্যাচ হতে চলেছে।
আরও পড়ুন: Eden Gardens | ইডেনকে অনুসরণ করুক নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম, বলছেন স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রশংসা করে অজি ব্যাটার বলেন, এটা এক দারুণ উদ্যোগ। আমরা যেসব ম্যাচ খেলি তার প্রত্যেকটিকে প্রাসঙ্গিকতা দেয়। শীর্ষে থেকে ভারতের বিরুদ্ধে ফাইনাল খেলতে পেরে অত্যন্ত উত্তেজিত। ওভালে আমরা আর ভারত। আমি নিশ্চিত ওখানে প্রচুর ভক্ত থাকবে, সম্ভবত অস্ট্রেলিয়ার থেকে ভারতেরই বেশি, তবে আমি নিশ্চিত দারুণ মজা হবে এবং ছেলেরা তার জন্য মুখিয়ে আছে। প্রসঙ্গত, ভারতের মাটিতে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে ১-২ ফলে হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে মায়ের অসুস্থতার কারণে অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ফিরে গেলে নেতৃত্ব দেন স্মিথ। তাঁর নেতৃত্বেই তৃতীয় টেস্ট জেতে অজিরা।
এদিকে হেভিওয়েট ম্যাচ পরিচালনা করবেন কারা, তাও ঠিক হয়ে গেল। মাঠের দুই আম্পায়ার থাকবেন নিউজিল্যান্ডের ক্রিস গ্যাফানি (Chris Gaffaney) এবং ইংল্যান্ডের রিচার্ড ইলিংওয়র্থ (Richard Illingworth)। ইংল্যান্ডের রিচার্ড কেটেলবরো (Richard Kettleborough) থাকবেন টিভি আম্পায়ার হিসেবে। চতুর্থ আম্পায়ারের দায়িত্ব পেয়েছেন শ্রীলঙ্কার কুমার ধর্মসেনা (Kumar Dhramasena) এবং ম্যাচ রেফারি ওয়েস্ট ইন্ডিজের রিচি রিচার্ডসন (Richie Richardson)। ৪৮ বছরের গ্যাফানি তাঁর ৪৯তম টেস্ট খেলাবেন এবং ইলিংওয়র্থের ৬৪তম টেস্ট হতে চলেছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। সুতরাং আম্পায়ারিংয়ের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার কোনও অভাব নেই।