কলকাতা: শুক্রবার দুপুরে উল্লসিত হয়ে উঠেছিলেন ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) সমর্থকরা। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (AIFF) প্লেয়ার্স স্টেটাস কমিটির (PSC) শাস্তিবিধানে দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court) স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। ফলে শনিবার বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে আনোয়ার আলির (Anwar Ali) মাঠে নামা প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর, আনোয়ারের ইস্টবেঙ্গলে খেলার ছাড়পত্রও বাতিল করে দেয় আদালত। ফলে ভারতীয় ডিফেন্ডার এখন মোহনবাগানের তো নয়ই, এমনকী ইস্টবেঙ্গলেরও না।
লাল-হলুদ সমর্থকদের সকালের উল্লাস বিকেলে হতাশায় পরিণত হল। পিএসসির রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। পাল্টা আসরে নামে মোহনবাগানও (Mohun Bagan SG)। আনোয়ারকে চার মাসের নির্বাসন এবং আনোয়ার, দিল্লি এফসি এবং ইস্টবেঙ্গলকে মিলিতভাবে ১২.৯০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার শাস্তিতে সকালেই স্থগিতাদেশ দেয় দিল্লি উচ্চ আদালতের বিচারপতি সঞ্জীব নারুলার বেঞ্চে।
আরও পড়ুন: সানগ্লাস পরে ব্যাটিং শ্রেয়সের, ফিরলেন শূন্য রানে
কী কী কারণে নির্বাসনের সিদ্ধান্ত এবং তা লিখিত আকারে জানানো হয়েছে কি না তা পিএসসি-র কাছে জানতে চান বিচারপতি। আইনজীবী জানান, এখনও লিখিত আকারে জানানো হয়নি। এরপর তিনি পিএসসিকে শনিবার ফের আগাগোড়া শুনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেন। সিদ্ধান্তের কারণ লিখিত আকারে জানাতেও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। প্রসঙ্গত, ফিফার নিয়মানুযায়ী কোনও বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কিছুদিন পরেও লিখিত আকারে জানানো যায়। কিন্তু এ বিষয়টা পিএসসি-র আইনজীবী বিচারপতিকে বোঝাতে পারেননি।