ধরমশালা: শনিবার সকালের ম্যাচ হাড্ডাহাড্ডি হবে, এমনটাই আশা ছিল। কিন্তু হল একপেশে। আফগানিস্তানকে (Afghanistan) ৬ উইকেটে হারিয়ে দিল বাংলাদেশ (Bangladesh)। খেলা শুরু হয়েছিল ভারতীয় সময় সাড়ে ১০টায়। শিশির ফ্যাক্টর না থাকায় এদিন স্পিন বড় ভূমিকা নেবে প্রত্যাশিত ছিলই। ঠিক তা-ই হল। আফগানদের মাত্র ১৫৬ রানে অল আউট করে দিলেন বাংলাদেশি স্পিনাররা। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান (Shakib Al Hasan) তিন উইকেট নিলেন। মেহেদি হাসান মিরাজের (Mehidy Hasan Miraz) ঝুলিতেও তিন উইকেট।
টসে জিতে আফগানদের ব্যাট করতে পাঠান সাকিব। শুরুটা কিন্তু দারুণ করেছিল আফগানিস্তান। তাদের প্রথম উইকেট পড়ে ৮.২ ওভারে। ততক্ষণে স্কোরবোর্ডে ৪৭ রান উঠে গিয়েছে। প্রথম ধাক্কাটা দেন সেই সাকিবই। আফগানিস্তানের হয়ে সবথেকে বেশি রান করেন কেকেআরের খেলোয়াড় রহমানুল্লা গুরবাজ (৬২ বলে ৪৭)। একটা সময় ১১২ রানে তিন উইকেট ছিল আফগানদের। সেখান থেকে ধস নামে।
আরও পড়ুন: দীর্ঘ নাটক শেষে কাবাডিতে সোনা ভারতের ছেলেদের
ব্যাট করতে নেমে ২৭ রানে ২ উইকেট পড়ে যায় বাংলাদেশের। ইনিংস সামাল দেন মেহেদি হাসান এবং নাজমুল হোসেন শান্ত (Najmul Hossain Shanto)। দুজনেই হাফ সেঞ্চুরি করেন। মেহেদি ৭৩ বলে ৫৭ রান করে আউট হয়ে গেলেও ৮৩ বলে ৫৯ করে অপরাজিত থাকেন শান্ত। জয়ের রান আসে তাঁর ব্যাট থেকেই। ১৫.২ ওভার বাকি থাকতেই জিতে যাওয়ায় নেট রানরেটে অনেকটা এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
Bangladesh showed all-round dominance to take their opening #CWC23 clash against Afghanistan ?#BANvAFG ?: https://t.co/6zxhxDLXtl pic.twitter.com/lkwCci1rIK
— ICC Cricket World Cup (@cricketworldcup) October 7, 2023
তামিম-সাকিব দ্বন্দ্ব কাটিয়ে খেলায় কতটা ফোকাস করে বাংলাদেশ, সেটাই দেখার ছিল। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে নেই একদিনের ক্রিকেটে বাংলাদেশের রেকর্ড রান সংগ্রাহক তামিম ইকবাল (Tamim Iqbal)। কিছুদিন আগে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর ছিল, তামিম বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে জানিয়েছেন, তিনি বিশ্বকাপে পাঁচটা ম্যাচের বেশি খেলতে পারবেন না। তাঁর চোট আছে। সাকিব আল হাসান (Sakib Al Hasan) নাকি জানিয়ে দেন, তামিমের এই দাবি মেনে নেওয়া হলে তিনি দল ছাড়বেন।
শেষ পর্যন্ত তামিমকে বাদ দিয়েই বিশ্বকাপের দল গড়ে বাংলাদেশ। এরপরেও দুই তারকা ক্রিকেটারের ইগো সমস্যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া উত্তাল হয়। তবে এই সমস্ত কিছু বঙ্গ ব্রিগেডের খেলায় বিন্দুমাত্র প্রভাব ফেলেনি।