কৃশানু ঘোষ: ৬০-৭০ মিনিট থেকেই মাঠ ছাড়ছিলেন ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) সমর্থকরা। দলের হতাশাজনক পারফর্ম্যান্স নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করছিলেন অনেকেই। তাঁরা সম্ভবত ভাবেননি, একেবারে শেষ লগ্নে গোল করে এই ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট পাবেন ক্লেটন সিলভারা (Cleiton Silva)। ক্লেটনের বিশ্বমানের ফ্রিকিক থেকে গোল মাঠে বসে দেখতে পেলেন না, সেই আফসোসও থেকে যাবে তাঁদের। বলতে গেলে একাই হায়দরাবাদ এফসি-কে (Hyderabad FC) ২-১ হারিয়ে আইএসএলের প্রথম জয় এনে দিলেন ক্লেটন।
১২ অগাস্ট কলকাতা ডার্বি জয় এবং ডুরান্ড ফাইনালে ওঠার পর যে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত (Carles Cuadrat) ভালো দিন এনে দেবেন, বিশ্বাস করতে শুরু করেছিল সবাই। কিন্তু দেশ হোক বা ফুটবল ক্লাব, ভালো দিন হুট করে আসে না। অনেকগুলো ফ্যাক্টর কাজ করতে হয় একসঙ্গে। আজ শুধু ক্লেটন ফ্যাক্টর কাজ করেছে, তাতেই লাল-হলুদের ভালো দিন।
আরও পড়ুন: পুরুষদের দশ হাজার মিটার দৌড়ে মেডেল ভারতের
90+3’ GOAAAAALL! Another day, another Cleiton free-kick goal!
It doesn’t get any better than this! 😍
Watch the match LIVE here 📺👉https://t.co/oOzbnUoEak#EBFCHFC #JoyEastBengal #EastBengalFC #ISL10 #ISL #LetsFootball pic.twitter.com/QptY8mxDO6
— East Bengal FC (@eastbengal_fc) September 30, 2023
ম্যাচের শুরুর আট মিনিটের মধ্যে গোল খেয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। কিছুটা কপাল কিছুটা হরমনজ্যোত খাবরার অন্যমনস্কতা দায়ী। তাঁর পিছনে ঢুকে পড়া হিতেশ শর্মাকে খেয়ালই করেননি ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক। তবে দু’ মিনিটের মধ্যেই গোল শোধ। থ্রু পাস ধরে হায়দরাবাদ বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন বোরখা পেরেরা গঞ্জালেজ। তাঁকে ট্যাকল করলে সেই বল চলে আসে সিলভার পায়ে। তিনি ঠান্ডা মাথায় কাট্টিমণির পাশ দিয়ে গোল করেন।
ইস্টবেঙ্গলের কোচের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন নেই। তিনি আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ইতিমধ্যেই। কিন্তু এই দলটাকে চ্যাম্পিয়ন করা আদৌ সম্ভব? দেশিদের মধ্যে নন্দকুমার, মহেশ নাওরেম সিং আর বিদেশিদের মধ্যে একমাত্র ক্লেটন সিলভা। বাকিদের পাতে দেওয়া যায় না। খাবরা সাত বছর আগে মাঝমাঠে খেলতেন। তখন ভালো খেলতেন। এখন রাইট ব্যাকে খেলছেন। অথচ গোটা ম্যাচে বক্সের মধ্যে একটা ক্রস ভাসাতে দেখা গেল না। প্রথম জয় এসেছে, এখন নেতিবাচক হওয়ার সময় নয়, তবে চিন্তায় কিন্তু কুয়াদ্রাত থাকবেনই।