কলকাতা: ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের (East Bengal FC) তরফে কি একটা শনিপুজো করা উচিত? কিংবা জ্যোতিষী ডেকে গ্রহশান্তি? মোহনবাগানের (Mohun Bagan SG) বিরুদ্ধে দাঁড়াতেই পারেনি লাল-হলুদ, কিন্তু ওড়িশার (Odisha FC) বিরুদ্ধে তারাই ভালো খেলছিল। কিন্তু দিনের শেষে খেলার ফলাফল ওড়িশা ২, ইস্টবেঙ্গল ১। আইএসএলে হারের ডাবল হ্যাটট্রিক হয়ে গেল, ক্লেটন সিলভাদের (Cleiton Silva) পয়েন্টের খাতা সেই শূন্য।
অস্কার ব্রুজোন (Oscar Bruzon) খেলোয়াড়দের কী মন্ত্র দিয়েছিলেন জানা নেই, তবে ইস্টবেঙ্গলের খেলা দেখে ভালো লাগছিল। আক্রমণ বেশি তারাই করছিল, গোলের সুযোগও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু খেলার গতির বিপরীতে প্রথম গোলটি করে দেয় ওড়িশা। থ্রু পাস ধরে সহজ ফিনিশ করেন রয় কৃষ্ণ। প্রথমার্ধের শেষ লগ্নে পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান দিয়ামান্তাকোস।
আরও পড়ুন: ম্যাচ ৫০-৫০, বাংলাদেশ পারবে প্রোটিয়াদের হারাতে?
MOURTADA AIRLINES COMING UP! ✈#OFCEBFC #ISL #LetsFootball #OdishaFC #MourtadaFall | @OdishaFC pic.twitter.com/sKwXgghR0q
— Indian Super League (@IndSuperLeague) October 22, 2024
দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই কেমন যেন গুটিয়ে গেল কলকাতার ক্লাব। সার্জিও লোবেরার দল আরও চেপে বসল। ইস্টবেঙ্গলের খেলোয়াড়দের দেখে মনে হল ৬০-৬৫ মিনিটের বেশি খেলার দম নেই। ৬৯ মিনিটে তালগাছের মতো লম্বা মুর্তাদা ফলের হেডে ২-১ এগিয়ে গেল ওড়িশা, তার পর ইস্টবেঙ্গলের আরও তেড়েফুঁড়ে খেলার কথা। কিন্তু নন্দকুমার ছাড়া কারও মধ্যে সেই তাগিদটাই দেখা গেল না।
লেফট ব্যাক প্রভাত লাকরা বোধগম্যি বিসর্জন দিয়ে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লেন। তার প্রতিবাদ করতে গিয়ে হলুদ কার্ড দেখলেন ব্রুজোন। আসলে তিনি চূড়ান্ত হতাশ, চোখমুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। হতাশা, ক্ষোভ ঝাড়তে গেলেন চতুর্থ রেফারির উপর। এই দলকে কী করে টেনে তুলবেন তা তিনিই জানেন।
দেখুন অন্য খবর: