কলকাতা: ডর্টমুন্ড শহরের সিগন্যাল ইদুনা পার্ক (Signal Iduna Park) সাধারণত হলুদ রঙে ভরে থাকে, কারণ এই মাঠ জার্মান ক্লাব বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের, যাদের জার্সির রং হলুদ। আজ হলদু নয়, স্টেডিয়ামের অর্ধেক কমলা এবং অর্ধেক সাদা হয়ে থাকবে। কারণ বুধবার রাতে এ মাঠে ইউরো কাপের সেমিফাইনাল খেলতে নামবে নেদারল্যান্ডস (Netherlands) এবং ইংল্যান্ড (England)। যে জিতবে স্পেনের (Spain) বিরুদ্ধে আগামি রবিবার ফাইনাল খেলবে।
আজ ইংল্যান্ড জিততে পারলে পরপর দু’বার ইউরো কাপের ফাইনাল খেলবে। সেই পথে তাদের কাঁটা এক শক্তিশালী ডাচ দল। নেদারল্যান্ডসের হয়ে দারুণ ফর্মে আছেন ফরোয়ার্ড কোডি গাকপো (Cody Gakpo)। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করছেন জাভি সিমন্স এবং মেমফিস দিপাই। এই তিনজনকে আটকানো ইংলিশ রক্ষণের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ গোলে মেসি দুইয়ে, সামনে শুধুই রোনাল্ডো
খুব ভালো ফুটবল না খেলেও সেমিফাইনাল পর্যন্ত এসে পড়েছে গ্যারেথ সাউথগেটের (Gareth Southgate) ইংল্যান্ড। কোয়ার্টার ফাইনালে শেষ মুহূর্তে বুকায়ো সাকার (Bukayo Saka) অনবদ্য গোলে সমতা এবং টাইব্রেকারে জিতেছিল তারা। দলগত খেলার থেকে তারা ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের উপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে রয়েছে। কিন্তু দলগত প্রচেষ্টা ছাড়া ফুটবল টুর্নামেন্ট জেতা যায় না।
অধিনায়ক হ্যারি কেনের (Harry Kane) ফর্মও চিন্তায় রাখবে সাউথগেটকে। পরিবর্ত হিসেবে নেমে নজর কেড়েছেন আইভান টোনি, তাঁকে প্রথম একাদশে রাখার দাবি উঠেছে নানা মহল থেকে। প্রশ্ন উঠেছে কেনের ফিটনেস নিয়েও। অতীতে গোল করারা পাশাপাশি তাঁকে নীচে নেমে খেলা তৈরি করতেও দেখা যেত যা এই প্রতিযোগিতায় দেখা যায়নি। দুই গোল করলেও সেরা ফর্মের থেকে বহু দূরে ইংল্যান্ডের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা। আজ কি জ্বলে উঠবেন তিনি?