মুম্বই: কেন উইলিয়ামসনের ক্যাচটা যখন মহম্মদ শামি (Mohammad Shami) ফেলে দিলেন তখন ভয় পেয়েছিলাম। ভারত ম্যাচ হেরে যাবে সেই ভয় নয়। বরং ম্যাচ হারলে শামির কতটা মুণ্ডপাত হবে তা ভেবে। দেশে এখন সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি অক্ষুণ্ণ রাখতে সোশ্যাল মিডিয়ায় যত পোস্ট হয়, তার থেকে বেশি হয় বিচ্ছিন্নতা বাড়াতে। এক শ্রেণির অসুস্থ মানুষ গণ্ডগোল পাকানোর জন্য ফোন হাতে বসে আছে। শামি ক্যাচ ফেলতেই তাই ভয় পেয়েছিলাম। ভয় কাটিয়ে দিলেন শামিই। একই ওভারে সেট হয়ে যাওয়া কেন উইলিয়ামসন (Kane Williamson) এবং টম ল্যাথামকে (Tom Latham) আউট করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ফের ভারতের হাতে ফিরিয়ে দেন তিনি। ওই দুটো বল যেন অশুভ শক্তির দুই গালে দুই চড়।
আরও পড়ুন: ‘বিরাট’ রেকর্ডে গর্বিত ‘ঈশ্বর’, কী বার্তা দিলেন?
ভারত যদি ৩০০-৩৫০ করত তা হলে আজ বিপদ হত। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের টার্গেট ছিল ৩৯৮। এই রান তাড়া করতে হলে অন্তত দুজনকে সেঞ্চুরি করতে হত, এবং তা হয়নি। কিন্তু তাও কিউয়িদের প্রশংসা করতেই হবে। ভারতকে এরকম চাপে এই বিশ্বকাপে কেউ ফেলতে পারেনি। প্রশংসা অবশ্যই করতে হবে ডারিল মিচেলের (Daryl Mitchell)। কী ইনিংসটাই খেললেন তিনি। কিন্তু বিরাট কোহলির (Virat Kohli) সঙ্গে যেমন শ্রেয়স আইয়ার (Shreyas Iyer) ছিলেন তাঁর সঙ্গে কেউ ছিলেন না। সঙ্গ দিচ্ছিলেন উইলিয়ামসন। তিনি ৬৯ করে আউট হলেন যা ৩৯৮ তাড়া করতে হলে যথেষ্ট নয়।
এই প্রথমবার ডেথ ওভারে ভারতের বোলিং পরীক্ষায় পড়ল। ফুল মার্কস। নিজের শেষ দুই ওভারে যা বল করলেন কুলদীপ যাদব চিরকাল মনে থাকবে। মনে থাকবে মিচেলের ১১৯ বলে ১৩৪। মনে থাকবে ক্যাচ মিস করে শামির সাত উইকেট নেওয়া। মনে থাকবে রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) অধিনায়কত্ব। এবার একটাই কাজ বাকি। আমেদাবাদে ট্রফিটা তোলা। ‘ধন্যি মেয়ে’ সিনেমার ডায়ালগটা বড্ড মনে পড়ছে, ‘শিল্ড যেন গ্রামের বাইরে না যায়।’