চেন্নাই: ৩৭৬ রানের জবাবে বাংলাদেশ ১৪৯ রানে অল আউট। ভারতকে আরও একবার ব্যাট করাতে হলে তাদের আরও অন্তত ২২৮ রান করতে হত। পিচে ক্রমশ স্পিন বাড়ছে, হাতে অশ্বিন-জাদেজা, এদিকে জসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সিরাজ, আকাশ দীপরা তো আছেনই। এরকম পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে (Bangladesh) ফলো অন করালে কী এমন মহাভারত অশুদ্ধ হত?
বর্তমান যুগে ফলো অন করানোর ট্রেন্ডটা ডোডো পাখির মতোই উবে গিয়েছে। এই ফলো অন খেয়েই ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens) ঐতিহাসিক টেস্ট জিতেছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভারত। টেস্ট ক্রিকেটকে জনপ্রিয় করতে, তাকে বাঁচিয়ে রাখতে অনেক কিছু ভাবছে আইসিসি (ICC)। বিসিসিআইও (BCCI) বোনাস ঘোষণা করেছে। কিন্তু টেস্ট ম্যাচ থেকে ফলো অনের মতো চিত্তাকর্ষক উপাদান নিশ্চিহ করে দেওয়াটা কেমন বিচার?
আরও পড়ুন: দ্রাবিড়ের দলেই ভিড়লেন তাঁর বিশ্বজয়ী ডেপুটি
৪৭.১ ওভার বল করেছেন ভারতীয় বোলাররা। চেন্নাইতে গরম আছে ঠিকই, কিন্তু বাংলাদেশকে আর একবার অল আউট করতে কতক্ষণই বা লাগত? অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা হলেও না হয় বোঝা যেত। কিন্তু বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এই সামান্য ঝুঁকিটাও (ঝুঁকি বলাটাও বাড়াবাড়ি) কি নিতে পারতেন না রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)? এক হতে পারে সম্প্রচার স্বত্ব, বিজ্ঞাপন, টিকিট বিক্রির কথা ভেবে টেস্ট ম্যাচের সময়সীমা বাড়াল ভারত। না হলে দু’ দিনে শেষ হয়ে যেতে পারত চেন্নাই টেস্ট।
দেখুন অন্য খবর: