কানপুর: চলছে টেস্ট ম্যাচ, কিন্তু রোহিত শর্মা এবং যশস্বী জয়সওয়াল নেমেই টি২০ খেলতে শুরু করলেন। প্রথম ওভারে হাসান মাহমুদকে তিনটি চার মারলেন যশস্বী। পরের ওভারে এলেন খালেদ মাহমুদ, তাঁর প্রথম বলে স্টেপ আউট করে ছয় মারলেন রোহিত, পরের বলে পুল করে ছয়।
মেহদি হাসানের বলে ১১ বলে ২৩ করে বোল্ড হলেন ভারত অধিনায়ক। তার জন্য বলের কেরামতি যতটা ততটাই মনোসংযোগ নষ্ট হওয়া দায়ী। আর মনোসংযোগ নষ্টের জন্য দায়ী আম্পায়ার রিচার্ড কেটলবরো। আউট হওয়ার আগের বলটাতেই এলবিডব্লুউর আবেদন করেছিল বাংলাদেশ। অফস্টাম্পে পড়া বল স্পিন করে লেগস্টাম্পের বাইরে যাচ্ছিল। এমনকী ইমপ্যাক্ট ছিল লেগ স্টাম্পের বাইরে। অথচ আম্পায়ার আঙুল তুলে দিলেন।
আরও পড়ুন: লজ্জার হার ম্যান ইউয়ের, সরব প্রাক্তনরা
বিগ স্ক্রিনে রিপ্লে দেখে তুমুল বিরক্তি প্রকাশ করলেন রোহিত। এদিকে আরও একটা শতরানের কাছে গিয়েও ফিরে গেলেন যশস্বী। ৩১ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করেন তিনি, ভারতীয়দের মধ্যে চতুর্থ দ্রুততম। তিনি টি২০ মোডেই খেলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন, কিন্তু হাসান মাহমুদের নিচু হয়ে যাওয়া বলে বোল্ড হয়ে গেলেন। ১২টি চার, দুটি ছয় সহ ৫১ বলে ৭২ করেছেন বাঁ হাতি ওপেনার।
ভারত যে এই ম্যাচ জেতার একটা চেষ্টা করছে তা ব্যাটিংয়ের ধরন দেখিয়ে বোঝা যাচ্ছে। যশস্বী আউট হতে বিরাট কোহলিকে না নামিয়ে ঋষভ পন্থকে নামানো তার আরও বড় প্রমাণ। যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশের রান টপকে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। শেষ দিনে ২৫০ রানের লিড দিয়ে দুটো সেশনে বাংলাদেশকে অল আউট করাটাই লক্ষ্য। পারলে ইনিংসে জিতবে ভারত, অল আউট না করতে পারলে ক্ষতি নেই, ড্র হবে।