কলকাতা: মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের (Mohun Bagan SG) কোচ হয়ে প্রথমবার সাংবাদিক সম্মেলন করলেন হোসে মোলিনা (Jose Molina)। সঙ্গে ছিল অস্ট্রেলিয়ান লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা জেমি ম্যাকলারেন (Jamie McLaren)। আর এই দুজনের মাঝে মধ্যমণি হয়ে বসে ছিলেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা (Sanjiv Goenka)।
শেষবার কলকাতায় এসেছিলেন, তখন অ্যাতলেটিকো দে কলকাতার কোচ ছিলেন মোলিনা। ২০১৬-১৭ মরসুমে চ্যাম্পিয়নও হয়েছিলেন। কিন্তু এবার চাপ অন্যরকম। মোহনবাগান মানেই অসংখ্য ভক্ত-সমর্থকদের প্রত্যাশার চাপ। তাতে চিন্তিত নন স্প্যানিশ কোচ। তিনিও প্রত্যেকটি প্রতিযোগিতায় জিততে চান। তবে বেশি দূরের কথা চিন্তা না করে প্রত্যেক ম্যাচের উপর ফোকাস করার পক্ষপাতী।
আরও পড়ুন: ইতিহাসে মনু, মিক্সড ইভেন্টে সঙ্গী শুটার সরবজ্যোত, শুভেচ্ছা মোদির
এটিকে-র (ATK) কোচ থাকাকালীন কিছুটা রক্ষণাত্মক ফুটবল দেখা গিয়েছিল। কিন্তু এবার আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলবে তাঁর দল, জানিয়ে দিলেন স্পষ্ট। তাঁর হাতে যা রসদ আছে তাতে অ্যাটাকিং ফুটবল না খেলাটাই আশ্চর্যের হবে। দিমিত্রি পেত্রাতস (Dimitri Petratos) এবং জেসন কামিংস (Jason Cummings) ছিলেনই, এবার এসেছেন ১২ কোটির ম্যাকলারেন।
সৌদি আরব থেকেও ডাক পেয়েছিলেন, তবু ভারতে আসার সিদ্ধান্ত নিলেন কেন? ‘ম্যাকা’ জানালেন, মোহনবাগানের সাফল্য, ঐতিহ্যের কথা শুনেছেন তিনি, যা তাঁকে ভারতীয় ফুটবলের প্রতি আকৃষ্ট করেছে। তাছাড়া বাগান শিবিরে তাঁর কয়েকজন বন্ধু ও পরিচিত রয়েছে। পেত্রাতসের সঙ্গে এক ক্লাবে খেলেছেন, কামিংসের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলে খেলেছেন। তাছাড়া এ লিগে টম অলড্রেডের বিরুদ্ধে খেলেছেন ম্যাকলারেন। এই সবকিছুই তাঁকে সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করেছে। এদিন কোচ এবং ক্লাবের কর্ণধার একসঙ্গে তাঁর হাতে ২৯ নম্বর জার্সি তুলে দেন।