
কৃশানু ঘোষ: বড় জয় দিয়ে আইএসএল অভিযান শুরু করল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। পঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে পালতোলা নৌকা ডুববে এমনটা তাদের সবথেকে বড় শত্রুও কল্পনা করেনি। দেখার ছিল ক’টা গোল দিতে পারেন দিমিত্রি পেত্রাতস, জেসন কামিংসরা। গোল হল তিনটে, ফিনিশিং আর একটু ভালো হলে পাঁচটা হতে পারত। তবে সেই সঙ্গে হজমও করতে হয়েছে একটা। যদিও তার দায় সবুজ-মেরুন রক্ষণের নয়। একটা জঘন্য ব্যাক পাসে গোল খাইয়েছেন গ্ল্যান মার্টিন্স।
ডুরান্ড কাপ ফাইনালে লাল কার্ড দেখা অনিরুদ্ধ থাপার জায়গায় মার্টিন্সকে নামিয়েছিলেন বাগান কোচ হুয়ান ফেরান্দো। কিন্তু খুবই খারাপ খেললেন তিনি।
এদিন তিনজন সেন্টার ব্যাক এবং দুজন উইং ব্যাক দিয়ে দল সাজান ফেরান্দো। শুভাশিস বোস এবং আশিস রাই অনবরত ওঠানামা করছিলেন। এএ ফলে আক্রমণের সময় ফর্মেশন ৩-৫-২ আর রক্ষণ সামলাতে ৫-৩-২ হয়ে যাচ্ছিল। মার্টিন্সকে কিছুটা নীচে রেখে মাঝমাঠের দুই প্রান্ত বদল করছিলেন লিস্টন কোলাসো আর সাহাল আবদুল সামাদ। আক্রমণে পেত্রাতস কামিংস জুটি। দুজনেই প্রয়োজন মতো উঠে নেমে খেললেন।
১০ মিনিটে এল ম্যাচের প্রথম গোল। ডান প্রান্ত দিয়ে সামাদকে দারুণ লো ক্রস বাড়ান আশিস রাই। সেই বল সামাদ ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। তবে ভাগ্যবশত বল যায় কামিংসের পায়ে। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গোল করেন তিনি।
দ্বিতীয় গোলটি অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন। লিস্টনকে বক্সের মধ্যে দুরন্ত থ্রু পাস বাড়ান কামিংস। লিস্টন যখন গোলে শট মারতে যাবেন, পঞ্জাব গোলকিপার সামনে চলে এসেছেন। তিনি বুদ্ধি করে বল পিছনে পাস করেন, যা থেকে সহজেই গোল করেন পেত্রাতস।
দ্বিতীয়ার্ধে আর ক’টা গোল হয় সেটাই ভাবছিলেন বাগান সমর্থকরা। সেই সময়ই মার্টিন্সের সেই ভয়াবহ ব্যাকপাস। গোলকিপার বিশাল কেইথকে দিতে চাওয়া বল ধরে নেন পঞ্জাব স্ট্রাইকার লুকা মাজসেন, তারপরের মুহূর্তেই স্কোরলাইন ২-১। অপ্রত্যাশিত গোল পেয়ে চেগে ওঠে প্রথমবার আইএসএল খেলা পঞ্জাব। প্রায় ১০ মিনিট বেশ চাপ দেয় তারা। সে সময় শুভাশিসকে তুলে মনবীরকে নামান ফেরান্দো। নামার ঠিক এক মিনিটের মধ্যে দিমিত্রির ক্রস থেকে ৩-১ করেন মনবীর। ম্যাচের তখন ৬৪ মিনিট। এরপর পেত্রাতস আর কামিংসকে তুলে হুগো বুমো এবং আর্মান্দো সাদিকুকে নামানো হয়। অবশ্য তাতে ম্যাচের ফলাফলে কোনও প্রভাব পড়েনি।