নয়াদিল্লি: ফুটবলে একটা চালু কথা আছে– এক গোলে এগিয়ে থাকা দলের গোল হজম করার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি। সেই কারণে এক গোলের লিড কখনওই নিরাপদ নয়। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের (Mohun Bagan SG) মতো বড় দল কি তা জানে না? না হলে প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর খোলসে ঢুকে পড়ল কেন? শনিবারের ম্যাচের পর একগুচ্ছ প্রশ্ন রয়েছে।
দিমিত্রি পেত্রাতসের (Dimitri Petratos) একমাত্র গোলে পঞ্জাব এফসিকে (Punjab FC) হারিয়ে আইএসএলে (ISL 2023-24) দুই নম্বরে উঠে এল সবুজ-মেরুন। যে দল এক নম্বর হওয়ার জন্য লড়ছে, তারা ১০ নম্বরে থাকা দলকে মাত্র ১-০ হারাবে কেন? খেতাবি দৌড়ে বাগানের প্রধান প্রতিপক্ষ মুম্বই সিটি (Mumbai City FC) কিন্তু প্রতি ম্যাচে দুটো-তিনটে করে গোল পুরছে। ম্যাচে দাপটও তাদের অনেক। মোহনবাগানের সেই দাপট কোথায়?
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব ৩৭)
পঞ্জাবের বিরুদ্ধে বলের দখল থাকলেও রক্ষণ ভেদ করা যায়নি তেমনভাবে। গোল কিছুটা আচমকাই হয়েছে। তার উপর দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ানোর জায়গায় রক্ষণাত্মক হয়ে পড়লেন শুভাশিস বোস, জনি কাউকোরা (Jonny Kauko)। শেষের দিকে পঞ্জাব সমতা ফিরিয়ে দিতেই পারত, সুযোগও তৈরি হয়েছিল। সে সময় গোল খেয়ে গেলে মোহনবাগানের লিগ শিল্ড জয়ের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যেত।
আরও পড়ুন: জয়পুরের মাঠে বিরাট কোহলির রেকর্ড জানেন?
প্রশ্ন আরও আছে। এই রকম খেললে পরের ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসিকে হয়তো হারানো যাবে, কিন্তু ১৫ এপ্রিল কী হবে? মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচ কার্যত ফাইনাল। এরকম পারফরম্যান্সে ভরাডুবি অনিবার্য। সুস্থ হয়ে ফিরে আন্তনিও লোপেজ হাবাসের (Antonio Lopez Habas) আগে সে দিকে নজর দেওয়া দরকার। সেই সঙ্গে দরকার দীপক টাংরিকে ‘শিক্ষা’ দেওয়া। অপ্রয়োজনীয় ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখে পরের ম্যাচে নেই তিনি। লাল কার্ড দেখতে পারতেন, রেফারি খেয়াল করেননি বলে ছাড় পেয়েছেন।
আরও খবর দেখুন