কলকাতা ও বহরমপুর: সাগরদিঘির কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাসকে রাজনৈতিক কারণে তৃণমূল হেনস্তা করছে বলে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করল কংগ্রেস। বুধবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এবং বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়ে জানান, সাগরদিঘির ওই কংগ্রেস প্রার্থীকে মিথ্যা মহিলা ঘটিত অভিযোগে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। চিঠিতে আরও অভিযোগ, সহিদুল রহমান নামে সাগরদিঘির আরেক কংগ্রেস নেতাকেও একই অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি অবশ্য, বুধবার হাইকোর্ট থেকে শর্ত সাপেক্ষে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। অধীরের দাবি, দুটি ঘটনার পিছনে তৃণমূলের পরিকল্পিত চক্রান্ত রয়েছে। তাতে পুলিশকেও ব্যবহার করছে তৃণমূল।
এদিকে বৃহস্পতিবার জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে সাইদুলের জামিন বন্ডে সই করতে আসেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। আদালতের নির্দেশ ছিল, সাংসদকে সাইদুলের জামিনদার হতে হবে। সেই মতো অধীর এদিন আদালতে জামিন বন্ডে সই করেন। পরে সাংবাদিকদের অধীর বলেন, মিথ্যে মামলা দিয়ে সাইদুলকে ফাঁসানো হয়েছিল। তিনি গতকাল হাইকোর্টের নির্দেশে জামিন পেয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে আমি তার জামিনদার হয়েছি। পাশাপাশি, অধীর আরও বলেন, একইভাবে সাগরদিঘির কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাসকেও মিথ্যে মহিলাঘটিত অভিযোগে হেনস্তা করা হচ্ছে। এর পিছনেও তৃণমূল এবং পুলিশের হাত রয়েছে। গতকালই অধীর এবং কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন দাবি করেন, আসলে সাগরদিঘিতে হার নিশ্চিত বুঝতে পেরেই তৃণমূল এই নোংরা খেলায় মেতেছেন। তাতে অবশ্য কোনও লাভ হবে না।
আরও পড়ুন: Madhyamik Exam 2023: মাধ্যমিকে ভালো ফল যাতে না করতে পারে হাতে অ্যাসিড ঢালার অভিযোগ বীরভূমে
অন্যদিকে সাহিদুল রহমানের অন্তর্বর্তী জামিনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হয়েছেন নির্যাতিতা। প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে মামলা দায়েরের অনুমতি চাইলেন নির্যাতিতার আইনজীবী। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মামলার অনুমতিও দিয়েছে। এদিনই সাহিদুলকে জঙ্গীপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়।