নয়াদিল্লি: জনপ্রিয় ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসিকে (BBC) ব্যান করার দাবি। এই দাবি নিয়ে রবিবার হিন্দু সেনা (Hindu Sena) সদস্যরা নয়াদিল্লিতে বিক্ষোভ দেখায়। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির কস্তুরবা গান্ধী মার্গে অবস্থিত বিবিসির দফতরে এসে তাঁরা ভিড় জমান এবং এই আন্তর্জাতিক মিডিয়া সংস্থার বিরুদ্ধে ভারত এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগও তোলেন।গত সপ্তাহে বিবিসির তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ (India The Modi Question) সারা বিশ্বে মুক্তি পেয়েছে। ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার উপর নির্মিত এই তথ্যচিত্রটি (Documentary) প্রকাশিত হওয়ার পরই বিতর্ক শুরু হয়েছে।
এদিন প্ল্যাকার্ড হাতে হিন্দু সেনা (Hindu Sena) সদস্যরা বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের দাবি, বিবিসি ভারতের ঐক্যের জন্য ক্ষতিকারক, ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। প্ল্যাকার্ডে বিবিসি (BBC) ভারত ছাড়ো লিখে প্রতিবাদ জানানো হয়। এক সিনিয়র পুলিশ অফিসার জানান, পুলিশের প্যাট্রোলিং টিম ঘটনাস্থলের ধারেকাছেই ছিল। বিবিসির অফিসের বাইরে আন্দোলনকারীদের দেখতে পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয় এবং প্ল্যাকার্ডগুলি সরিয়ে নেয়।
এদিকে, হিন্দু সেনা প্রধান বিষ্ণু গুপ্তা বলেছেন, বিবিসি জাতির ঐক্য ও অখণ্ডতার জন্য ক্ষতিকারক, অবিলম্বে ভারতে চ্যানেলটি নিষিদ্ধ করা উচিত । তাঁর আরও দাবি, ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন জরুরি অবস্থার সময় ভারতে বিবিসি নিষিদ্ধ করেছিলেন। এরপর বিবিসি ক্ষমা চায়, তারপর নিষেধাজ্ঞা তোলা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: Sitaram Yechury: আদানি গোষ্ঠী বিতর্কে মোদি সরকারকে তোপ সীতারাম ইয়েচুরির
কেন্দ্র সরকার গত সপ্তাহে টুইটার এবং ইউটিউবকে “ইন্ডিয়া দ্য মোদি কোয়েশ্চেন” (India The Modi Question) শীর্ষক ডকুমেন্টরির লিঙ্ক ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক বিবিসির এই ডকুমেন্টরির (Documentary) সমালোচনা করে বলেছে, ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকেই তা তৈরি করা হয়েছে। যদিও বিবিসির বক্তব্য, যথেষ্ট গবেষণা করেই তথ্যচিত্রটি বানান হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন বিতর্কের মাঝে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্স সহ আরও বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই তথ্যচিত্রটি দেখানো হয়েছে। ইন্টারনেট মাধ্যমে ডকুমেন্টারির ডিজিটাল অ্যাক্সেস বন্ধ করার জন্য সচেষ্ট হওয়ায় বিরোধী দলগুলি কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের সমালোচনা ও নিন্দা করেছে।