কলকাতা: পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগে সোমবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্ধ ডেকেছিল বিজেপি। রাজ্যের কোথাও সেই বন্ধের তেমন প্রভাব পড়েনি। কলকাতা থেকে কাকদ্বীপ, শিলিগুড়ি থেকে সবং, স্বাভাবিকই ছিল উত্তর থেকে দক্ষিণ। ক্যামেরাতেও সেই ছবি ধরা পড়েছে। কয়েকটি জায়গায় বিজেপির কর্মী সমর্থকরা গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করলে পুলিস তা রুখে দিয়েছে। তবে দিনের শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য দাবি করলেন, বন্ধ সফল হয়েছে।
শমীক বলেন, রবিবার পুরনির্বাচন নিয়ে নৈরাজ্য মানুষ দেখেছে। বেলাগাম সন্ত্রাস, ভোট লুঠের প্রতিবাদেই বন্ধ ডাকা হয়েছিল। সমস্ত নেতৃত্ব তাতে অংশ নিয়েছেন। হাওড়া, হুগলি, শিলিগুড়ি সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা অবরোধ হয়। এটা প্রতীকী কর্মসূচি ছিল, মানুষকে সমস্যায় ফেলতে নয়। শাসকের চোখরাঙানি ও পুলিসের অতি তৎপরতা উপেক্ষা করে মানুষ বন্ধে সাড়া দিয়েছেন। দোকানদাররা যোগাযোগ করে বলেছে, কী চাপে দোকান খুলে রাখতে হয়েছে।
বিজেপির মুখপাত্রের কথায়, পুলিশি অতিসক্রিয়তা, বিনা প্ররোচনায় লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটেছে। তিন জন হাসপাতালে ভর্তি। থানার ভিতরেও লাঠিচার্জ হয়। এই তৎপরতা নির্বাচনে দেখা গেলে ভালো লাগত। যেভাবে কল্যাণ চৌবে, অগ্নিমিত্রা পালের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত বিজেপি লড়াইতে থাকবে। এ রাজ্যে যা হচ্ছে তাতে নির্বাচন সম্পর্কে মানুষ উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন।
আরও পড়ুন: North Bengal Bangla Bandh: শিলিগুড়ি সচল, উত্তরবঙ্গের কিছু জায়গায় মিশ্র সাড়া
রাজ্য নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে শমীক বলেন, নির্বাচন কমিশন তৃণমূলের তাঁবেদার হয়ে গেছে। বহু ইভিএম ভাঙা হয়েছে। ১০৮টি পুরসভা নির্বাচন বাতিল করা উচিত। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে সরিয়ে দেওয়া উচিত আমরা মনে করি।