নয়াদিল্লি: ফের জেল হেফাজত অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal)। নববর্ষও তিহারেই কাটবে তৃণমূল (TMC) নেতার। গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) ধৃত তৃণমূলের বীরভূম (Birbhum) জেলা সভাপতি অনুব্রতকে সোমবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে (Rouse Avenue Court) তোলা হয়। কিন্তু আইনজীবীদের (Lawyers) কর্মবিরতির জেরে তাঁর আবেদনের শুনানি হয়নি। আগামী ১২ দিনের জন্য অনুব্রতকে ফের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। ১৫ এপ্রিল ফের তাঁর মামলার শুনানি হবে। ওইদিনই আদালতে তোলা হবে অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকেও।
গত শনিবার দিল্লিতে দ্বারকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হন এক আইনজীবী। তারই প্রতিবাদে সোমবার দিল্লির সব নিম্ন আদালতে নিউ দিল্লি বার অ্যাসোসিয়েশন ধর্মঘট ডাকে। আইনজীবীরা তাতে শামিল হওয়ায় এদিন আদালতে বিচারক রঘুবীর সিংয়ের এজলাসে অনুব্রত মণ্ডলের শুনানিতে কেউ অংশ নেননি। আইনজীবী না থাকায় বিচারকের ঘরেই পেশ করা হয় বীরভূম তৃণমূলের দাপুটে নেতাকে। এরপরই ফের ১২ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
আরও পড়ুন:Netai Incident | নেতাই মামলায় অভিযুক্তরা জামিন পেয়ে সাক্ষীদের হুমকি দিচ্ছে, আদালতে অভিযোগ মামলাকারীর
অন্যদিকে তিহারের বদলে আসানসোল জেলে যেতে চেয়ে আগেই রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে আবেদন করেছিলেন বীরভূমের কেষ্ট। প্রয়োজন হলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা আসানসোল জেলে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করুন। এমনকি, পরবর্তীকালে ফের দিল্লিতে আসার ক্ষেত্রেও কোনও সমস্যা নেই। আবেদনে এও জানান অনুব্রত। এই আর্জির শুনানিও এদিন হয়নি। এদিকে দিল্লি হাইকোর্টে নামঞ্জুর হয়ে গিয়েছে অনুব্রতর জামিনের আবেদন। আপাতত তাই তিহারেই থাকতে হচ্ছে কেষ্টকে। দিল্লি হাইকোর্টে অনুব্রতর জামিন মামলার পরবর্তী শুনানি ২৭ জুলাই। ফলে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট স্থানান্তরিতকরণে অনুমতি না দিলে জামিনের অপেক্ষায় আরও ৪ মাস তিহার জেলেই থাকতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে।
উল্লেখ্য, গত বছরের অগাস্ট মাসে বীরভূমের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করে সিবিআই। এরপরই তাঁকে আসানসোল জেলে পাঠানো হয়। তদন্তে তাঁর নামে ও বেনামে বহু সম্পত্তির খোঁজ মেলে। জেলবন্দি অবস্থাতেই ইডির হাতে গ্রেফতার হন কেষ্ট। এরপরই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা তাঁকে দিল্লি নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। এই নিয়ে দীর্ঘ আইনি টানাপোড়েন চলে। শেষ পর্যন্ত দোলের দিনে তাঁকে রাজধানীতে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর ঠাই হয় তিহার জেল। দিল্লির সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই বারবার অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এই অবস্থায় সম্প্রতি তিহার জেলের হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। তাঁকে নিয়মিত ইনহেলার ও নেবুলাইজার ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ। এই মামলায় ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যাকে দু’দফায় তলব করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। দু’বারই হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি