কার্শিয়াং: এবার দার্জিলিঙের (Darjeeling) টয়ট্রেনেও (Darjeeling AC Toy Train) এসি কোচ।মঙ্গলবার ১৮ জন যাত্রীকে নিয়ে পাহাড়ের পথে যাত্রা শুরু হল ঐতিহ্যবাহী টয়ট্রেনের (Toy Train in Darjeeling)।মূলত বিদেশি পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে এসি টয়ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে। একইসঙ্গে দূষণ ঠেকানোরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।দুটি এসি কোচ সহ তিন কামরার ট্রেনটির এদিন গন্তব্য ছিল নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে তিনধারিয়া রেল স্টেশন পর্যন্ত।
উত্তরবঙ্গ মূলত ট্রিপল টি এর জন্য বিখ্যাত। ‘টি’ অর্থাৎ চা , ‘টিম্বার’ অর্থাৎ গাছের গুড়ি বা কাঠ। ‘ট্যুরিজম’ অর্থাৎ পর্যটন।আর এই পর্টযটন কেন্দ্রের অন্যতম আকর্ষণ হল টয়ট্রেন। শুধু ভারতীয়দের কাছে নয়, দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় এই ট্রেনটি।পর্যটকরা মূলত দার্জিলিং-এ আসেন এই ট্রেনে চড়ার আনন্দ নিতে।যদিও গত বছর ধসের ফলে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং এর ট্রেনের যাত্রা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবুও উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে একের পর এক, পর্যটকদের সুবিধার্থে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে টয়ট্রেনকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা হয়।আর এতেই নতুন সংযোজিত হল এসি কোচ।
কাঠিয়ার ডিভিশনের ডিআরএম কর্নেল সুধীর কুমার চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘টয়ট্রেনের ক্রমাগত চাহিদার জন্যই রেল কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত ২০২১ এর ২০শে অক্টোবর থেকে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং টয়ট্রেন পরিষেবা ধসের ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।মঙ্গলবার এই যাত্রার মধ্য দিয়েই আংশিকভাবে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যাত্রা শুরু হল। কিন্তু এই মুহূর্তে তিনধারিয়াত থেকে কার্শিয়াং পর্যন্ত ধসের ফলে ট্রেনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে।আগামী সাত দিনের মধ্যেই লাইন মেরামত করে পুনরায় যাত্রা শুরু করা যাবে। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন চালু করা সম্ভব হবে। ১ এপ্রিল থেকে এই ট্রেনের সঙ্গে ভিস্তা ডোম কোচও সংযুক্তকরণ হবে। এমনটাই জানান তিনি।
আরও পড়ুন Russia-Ukraine Conflict: বিমান ফিরলেও যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে এখনও আটকে বাঙালি পড়ুয়ারা
গরম পড়লেই পর্যটকদের প্রিয় ডেস্টিনেশন দার্জিলিং।বাদ যায়না শীতের মরশুমও।রাজ্যের তো বটেই বাইরে থেকেও পর্যটকদের ভিড় জমে দার্জিলিঙে।গত নভেম্বর থেকে প্রায় ১৫ শতাংশ যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে টয়ট্রেনে। তাই পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে দার্জিলিঙে চালু করা হয়েছে এসি টয়ট্রেন।রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এসি কোচের ফলে টয়ট্রেনে পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়বে। তাঁরা আশাবাদী।