বাঁকুড়া: গাড়ির পিছনে লিখা পুলিশ। সেই গাড়িতে চেপেই দিদির সুরক্ষাকবচ (Didir Suraksha Kawach) কর্মসূচি তৃণমূলের (TMC) অন্যতম রাজ্য সম্পাদক তথা অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Sayantika Banerjee)। মঙ্গলবার দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে পুলিশের স্টিকার (Police sticker) লাগানো গাড়িতে করে ঘোরা ঘিরেই দানা বাঁধল বিতর্ক। বিরোধীরা সায়ন্তিকার পুলিশের গাড়িতে দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচি পালন করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। সায়ন্তিকার সাফ জবাব, বাবা পুলিশ, তাই বাবার গাড়িতে করে ঘুরছি। এতে বিরোধীরা কী বলল না বলল, তাতে কিছু যায় আসে না।
এদিন বাঁকুড়ার (Bankura) মেজিয়ায় দিদির দূত কর্মসূচিতে যান সায়ন্তিক। সকালে মেজিয়া ব্লকের ডাং মেজিয়া গ্রামের মন্দিরে পুজো দেন তিনি। এরপর দলের কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মেজিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত ও তেওয়ারিডাঙা এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন অভিনেত্রী। এদিনের দলীয় সমস্ত কর্মসূচিতে সায়ন্তিকা যে গাড়িটি ব্যবহার করেছিলেন তার পিছনের কাচে বড় বড় হরফে লেখা রয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:&Weather | ধেয়ে আসছে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত, কোথায় জেনে নিন
বিরোধীরা প্রশ্ন তোলেন, তিনি পুলিশের গাড়িতে চড়ে কীভাবে দলীয় কর্মসূচী করছেন। বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানার কটাক্ষ, যেভাবে রাজ্যে একের পর এক দুর্নীতি সামনে আসছে তাতে সাধারণ মানুষ তাঁদের তাড়া করতে পারেন। সেই আশঙ্কাতেই সায়ন্তিকা পুলিশ লেখা গাড়িতে চেপে দলীয় কর্মসূচি সারছেন। সায়ন্তিকা অবশ্য এতে দোষের তেমন কিছু দেখছেন না। সায়ন্তিকার কথায়, আমার বাবা পুলিশে কাজ করতেন। অবসর নিলেও পুলিশের সঙ্গে এখনও পরোক্ষভাবে যুক্ত রয়েছেন। বাবার সেই গাড়িই আমি ব্যবহার করেছি।
দিদির দূত এবং দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে জেলায় জেলায় শাসকদলের নেতা-কর্মী-মন্ত্রী-বিধায়করা মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়ছেন। যেদিন থেকে এই দুই কর্মসূচি শুরু হয়েছে, সেদিন থেকেই কোথাও না কোথাও শাসকদলের লোকজনকে বিক্ষোভের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তা নিয়ে নেতা-মন্ত্রীদের বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। একাধিক জেলায় পরিষেবা না মেলায় সাধারণ মানুষের কটাক্ষ হজম করতে হচ্ছে নেতাদের। কোথাও কোথাও মানুষের তাড়াও খাচ্ছেন শাসকদলের লোকজন। বিরোধীরা বলছেন, এর থেকেই বোঝা যায়, বিভিন্ন সামাজিক কল্যাণমূলক প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা থেকে মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই এত বিক্ষোভ। শাসকদল অবশ্য বিরোধীদের এই কটাক্ষ মানতে নারাজ। শাসকদলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, দুএক জায়গায় বিক্ষোভ হতেই পারে। তাকে এত গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, রুপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী প্রভৃতি প্রকল্পের সুবিধা অধিকাংশ মানুষই পাচ্ছেন। সেই প্রকল্পগুলিকে আরও বেশি করে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই দুয়ারে সরকার কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, আগামী ১ এপ্রিল থেকে ফের রাজ্যে শুরু হচ্ছে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। তা চলবে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত।