কলকাতা: রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে বামেদের বিক্ষোভ ঘিরে বুধবার ধুন্ধুমার কাণ্ড বেধে গেল। কমিশনের দফতরের সামনে ১৪৪ ধারা জারি থাকায়, পুলিস বিক্ষোভকারীদের বাধা দেয়। তা নিয়ে উত্তেজনা চরমে ওঠে। গার্ডওয়াল সরিয়ে রাজ্য নির্বাচনের কমিশনের দফতরের দিকে বাম কর্মী-সমর্থকেরা এগনোর চেষ্টা করলে, পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেধে যায়। ১৪৪ ধারা ভাঙায় পুলিস ৩২০ জন বাম নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে বলে দাবি করেন ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু ।
হাওড়ায় দ্রুত পুরভোট করানোর দাবি নিয়ে বুধবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়েছিলেন বাম-নেতা কর্মীরা। বিক্ষোভ প্রদর্শনে বাধা পেয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেও তোপ দাগে বাম নেতৃত্ব। রাজ্য পুলিস দিয়ে নির্বাচন করালে, কলকাতা পুরভোটের মতোই শাসকদল ভোট লুঠ করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন বাম নেতারা।
কলকাতা হাইকোর্টে দেওয়া হলফনামায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, ২২ জানুয়ারি হাওড়া, শিলিগুড়ি, আসানসোল, বিধাননগর ও চন্দননগর পুরনিগমের ভোট। কিন্তু, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস পুরভোটের নির্ঘণ্ট ঘটনার সময় হাওড়াকে বাদ রাখে।
হাওড়ায় কেন পুরভোট হবে না, এ নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা। কমিশন কেন হলফনামায় দেওয়া কথা রাখল না, তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টেও গিয়েছেন বিরোধীরা। যদিও বিষয়টি নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য, হাওড়ায় পুরভোট নিয়ে রাজ্যের তরফে অবস্থান স্পষ্ট করা হয়নি। রাজ্যের নির্দেশ না পেলে, কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কোনও পদক্ষেপ করতে পারে না।
রাজ্য-রাজ্যপাল বিরোধের জেরে হাওড়ায় পুরভোট অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। হাওড়া পুরনিগম থেকে বালিকে আলাদা করতে বিধানসভায় সম্প্রতি সংশোধনী বিল এনেছিল রাজ্য। কিন্তু সেই বিলে এখনও সই করেননি রাজ্যপাল। ফলে, হাওড়ায় পুরভোট করানো নিয়ে আইনি জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল চাপানউতোরও চলছে। রাজ্যপালের অভিযোগ, সংশোধনী বিল সংক্রান্ত বিশদ তথ্য জানতে চেয়েও তিনি পাননি। যদিও রাজ্যের দাবি, সমস্ত নথি আগেই পাঠানো হয়েছে। রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের এই সংঘাতের জেরেই হাওড়ার পুরভোট এখন অনিশ্চিত।