কলকাতা টিভি ওয়েবডেস্ক: হাইতিতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৩০৪ জন। এমনটাই জানা গিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে। গতকাল শনিবার ভয়াবহ কম্পনের পর শুরু হয় উদ্ধারকাজ। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৭.২। পরতৌ প্রিন্স থেকে ১৬০ কিলোমিটারের মধ্যেই ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: হাইতিতে শক্তিশালী কম্পন, জারি সুনামি সতর্কতা
এই ভয়াবহ কম্পনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই দেশটির বহু জনবসতিপূর্ণ এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে বহু স্কুল। গুরুতর যখন অবস্থায় প্রচুর মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সংবাদমাধ্যম সূত্র এ খবর শতাধিকের ওপর জখম এখনও নিখোঁজ। তাদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান ও উদ্ধার কাজ চলছে। সে দেশের প্রশাসন সূত্রে খবর এই ভূকম্পের ঘটনায় গোটা দেশে ৩০৪ চারজনের মৃত্যু হলেও হাইতি দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে মৃত্যু হয়েছে ১৬০ জনের। এই ঘটনায় পুরোপুরি ভাবে বিপর্যস্ত দেশটির স্বাস্থ্য পরিষেবাও। বিপর্যয় ধূলিধূসরিত হয়েছে দেশটির গির্জা । আতঙ্ক গ্রাস করেছে হাইতি বাসির মনে।
ভয়াবহ বিপর্যয়ের জেরে ইতিমধ্যেই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে হাইতি প্রশাসন। বিধ্বস্ত দ্বীপপুঞ্জ দ্রুত সাহায্য পাঠানোর অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
আকাশপথে গোটা ঘটনার পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল হেনরি। তারপরে এক মাসের জন্য রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন তিনি। সেইসঙ্গে দেশবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসে অষ্টমবার লালকেল্লায় ভাষণ প্রধানমন্ত্রীর
এই প্রথম নয়,২০১০ সালে প্রবল ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে হাইতিতে। সেই ঘটনায় যেমন প্রচুর মানুষ নিহত হয়েছিলেন তেমনিই প্রায় ৩ লক্ষের বেশি জখম হন। ঘরছাড়া হয়েছিলেন দু লক্ষ মানুষ। আজ তাদের মধ্যে অধিকাংশই গৃহহীন হয়ে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এক দশক পেরিয়ে গেলেও সেই বিপর্যয়ের রেশ তার ভয়াবহতা কাটতে না কাটতেই এবার ফের আরও এক বিপর্যয় দেশটিকে আরো কঠিন সময়ের মধ্যে ফেলল বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।