শ্রীনগর: চলতি সপ্তাহের বুধবার রাতের দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন কাশ্মীরের হুরিয়ত নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি(Syed Ali Shah Geelani)। তারপর থেকেই সমগ্র উপত্যকা জুড়ে ছড়িয়েছে চাপা উত্তেজনা। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। এই উত্তেজনা রুখতে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর(Kashmir) প্রশাসন।
শ্রীনগরের হায়দারপোরা এলাকার বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন গিলানি। তাঁর বাড়ির চারপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সমগ্র উপত্যকা জুড়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে গোটা কাশ্মীর উপত্যকা জুড়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট সংযোগ। এমনই জানিয়েছেন কাশ্মীরের আইজিপি বিজয় কুমার।
আরও পড়ুন- গিলানির মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক পাকিস্তানে
১৯২১ সালে কাশ্মীরের সীমান্ত লাগোয়া বারামুল্লা এলাকায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন সৈয়দ আলি শাহ গিলানি। লাহোরের ওরিয়েন্টাল কলেজে লেখাপড়া করেছেন তিনি। দেশভাগের সময়ে কাশ্মীর পাকিস্তানের অঙ্গ না হওয়ার কারণে আন্দোলন শুরু করেন তিনি। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের করা হয়েছিল ২০১০ সালে।
দীর্ঘদিন ধরে গৃহবন্দী রয়েছেন গিলানি। ২০১৯ সালের অগস্ট মাসে কাশ্মীরের উপর থেকে বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর থেকে সেই নিয়ম আরও কড়া হয়েছে। এই অবস্থাতেই বুধবার প্রাণ হারান তিনি। সেই খবর ছড়াতেই বহু মানুষ সমবেত হওয়ার চেষ্টা করেন শ্রীনগরের হায়দরপোরা এলাকায় গিলানির বাড়ির সামনে। নিরাপত্তারক্ষীদের উদ্দেশ্য করে কটুক্তি করা হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন- ‘পুলিশ ডে’-তেই এল সুখবর! মার্কিন মুলুকে প্রশংসিত লালবাজারের ‘শবর পিতা’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গিলানির শেষকৃত্য সম্পন্ন করার ক্ষেত্রেও নমনীয় হয়নি ভারতীয় সেনা। পরিজনদের হাতে গিলানির দেহ তুলে দেওয়া হয়নি। ওই হুরিয়ত নেতার মৃত্যুর আধ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর দেহ নিয়ে গিয়ে কবরস্থ করেছে ভারতীয় সেনা। শ্রীনগর থেকে দূরে কোথায় গিলানির মরদেহ শায়িত রয়েছে তা এখনও কেউই জানে না। এই খবর ছড়াতেই উত্তেজনা বাড়তে শুরু করেছে উপত্যকায়।