উত্তরাখণ্ড: ধসের কারণেই জোশীমঠের (Joshimath Crisis) এমন অবস্থা। স্থানীয় বসতি ও অতিরিক্ত ভারের জন্যই এই ফাটল দেখা দিয়েছে বলে ভূবিজ্ঞানীর নতুন সমীক্ষায় তা উঠে এসেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাল ইউনিভার্সিটির (University of Hull) উপাচার্যের ডেভ পেটলি ২৩ জানুয়ারি তাঁর আমেরিকান জিওফিজিক্যাল ইউনিয়ন ব্লগে লেখেন, যেভাবে ভর ঢাল বেয়ে নিচে নেমে গিয়েছে তাতে এটা যে ভূমিধস তার কোনও সন্দেহ নেই। এটা স্পষ্ট যে, শহরটি একটি প্রাচীন ভূমিধসের উপর তৈরি হয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের পর্যটনমন্ত্রী সৎপাল মহারাজ দাবি করেন, জোশীমঠ নিয়ে তেমন কোনও উদ্বেগের কারণ নেই। তবে উদ্বেগ বাড়িয়েছে বদ্রীনাথের জাতীয় সড়কের ফাটল। জোশীমঠের আবহাওয়াও যথেষ্ট অনেকটাই উদ্বেগের।
জোশীমঠের ভূমিধসের কারণে বিপর্যস্ত এলাকার বাসিন্দাদের সুরক্ষিত এলাকায় সরানো হয়েছে। মোট ৮৬৩টি বাড়িকে এখনও পর্যন্ত চিহ্নিত করেছে জেলা প্রশাসন। তবে এবিষয়ে পর্যটন মন্ত্রীর দাবি, জোশীমঠ নিরাপদেই রয়েছে। তিনি বলেন, জোশীমঠ ডুবছে না। শুধু যাঁদের বাড়ির নিকাশি ব্যবস্থা খারাপ অথবা যাঁরা বাড়ির নীচে সেপটিক ট্যাঙ্ক বানিয়েছেন, তাঁদেরই অসুবিধার মুখে পড়েতে হয়েছে। যদিও মন্ত্রীর এই মন্তব্য মানতে নারাজ জোশীমঠের বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন:Student Incident: স্কুলপড়ুয়ার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার দুর্গাপুরে, ঘনাচ্ছে রহস্য
এর মধ্যেই জোশীমঠের চামোলির বদ্রীনাথ জাতীয় সড়ক পথে প্রায় দুই মিটার লম্বা ফাটল ধরা পড়েছে। এর জেরে ফের উদ্বেগ বেড়েছে এলাকাবাসীর। জাতীয় সড়কের ফাটল নিয়ে জেলা প্রশাসনের আশ্বাস, এ নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। সবদিক নজর রাখছে প্রশাসন।