দুবাই: দুরন্ত বোলিং| কিন্তু জয়টা যত সহজে আসবে ভাবা হয়েছিল তা হল না| ১২৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা তুলতে নাইটদের লড়তে হল ১৮ ওভার ২ বল পর্যন্ত| ৭ উইকেট খুইয়ে দিল্লির বিরুদ্ধে জয়ে ফিরল কলকাতা নাইট রাইডার্স|
গতম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হার| সেইসঙ্গে আরেক ধাক্কা আন্দ্রে রাসেলের চোট| মঙ্গলবার ঋষভ পন্থের দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে দলের বিধ্বংসী তারকাকে ছাড়াই প্রথম একাদশ সাজিয়েছিলেন ইয়ন মর্গ্যান| সেই ম্যাচে বোলাররা দুরন্ত পারফরম্যান্স দেখালেও, ব্যাটিং কিন্তু খানিকটা হলেও চিন্তায় রাখল নাইটদের| শেষ মুহূর্তে সুনীল নারিন ঝোরো ইনিংস না খেলতে পারলে, ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম হতেই পারত| যদিও ম্যাচ জয়ের পর অবশ্য সেসব হিসাব এখন অতীত|
টস জিতে এদিন দিল্লিকে প্রথম ব্যাটিংয়ের সুযোগ দেন ইয়ন মর্গ্যান| ম্যাচের শুরুটা অবশ্য বেশ ভালই করেছিলেন দিল্লির ওপেনাররা| কিন্তু নাইট বোলারদের দক্ষতাতে তা শেষপর্যন্ত স্থায়ী হয়নি| ম্যাচের ৪ ওভারে শিখর ধওয়ানকে ফিরিয়ে দিয়ে প্রথম ধাক্কাটা দেন লোকি ফার্গুসন| সেই শুরু| এরপর একে একে শ্রেয়স আইয়ার, হেটমায়ার, ঋষভ পন্থদের বেশীক্ষণ ক্রিজে থাকার সুযোগ দেননি নারিন, ভেঙ্কটেশ আইয়াররা|
ফার্গুসন, আইয়ার এবং নারিন তিন জনই পান দুটো করে উইকেট| ১২৭ রানেই থেমে যায় দিল্লির ইনিংস| লক্ষ্যমাত্রা কম| সহজ জয়ের ব্যপারেই আশাবাদী ছিলেন সকলে|
কিন্তু নইট ব্যাটারদেরও এদিন ছন্দে পাওয়া গেল না| ব্যর্থ এই কদিন নাইটদের প্রধান তারকা ভেঙ্কটেশ আইয়ার এবং রাহুল ত্রিপাঠি| শুভমন গিলও ৩০ রানেই ফিরে যান| একসময় ৬৭ রানের মধ্যে ৪ উইকেট খুইয়ে বেশ চাপেই পড়ে গিয়েছিল নাইট রাইডার্স| এদিনও শূন্য রানেই সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক মর্গ্যান|
নাইটদের রান এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজটা এদিন একাই চালিয়ে নিয়ে গিয়েছেন নীতিশ রানা| আর শেষ মুহূর্তে সুনীল নারিনের একটা বিধ্বংসী ইনিংস| ১০ বলে ২১ রানের ঝোরো ইনিংসটাই নাইটদের জয়ের রাস্তাটা নিশ্চিত করে দেয়| ম্যাচের সেরাও তিনিই হন| ১৮ ওভার ২ বলেই দিল্লি বধ করে ম্যাচ জিতে নেয় নাইট রাইডার্স|
১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে চার নম্বরেই নিজদের জায়গা ধরে রাখল কলকাতার নাইটরা|