Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeচতুর্থ স্তম্ভFourth Pillar | রামলীলা ময়দান, বিরোধী ঐক্যের কিসসা, বিরোধীরা কতটা ঐক্যবদ্ধ?
Fourth Pillar

Fourth Pillar | রামলীলা ময়দান, বিরোধী ঐক্যের কিসসা, বিরোধীরা কতটা ঐক্যবদ্ধ?

এখানেই থামলে হবে না, এমন সমাবেশ দেশজুড়ে করতে হবে, তাহলেই মানুষ ভরসা পাবেন

Follow Us :

দেশের রাজনৈতিক মানচিত্রের এমনই এক বিচিত্র গঠন যে এখানে দেশের শাসকদলের বিরুদ্ধে এক সুগঠিত রক-সলিড ঐক্য অবস্থার বিরাট কোনও ফারাক এনে দিতে পারবে, এমনটা কেউই মনেও করেন না। কেন? কারণ হল দেশের এক বিরাট জায়গাতে বিজেপির বিপরীতে আছে কংগ্রেস, এবং সেই মুখোমুখি লড়াইয়ে কংগ্রেসের স্ট্রাইক রেট ১০ শতাংশেরও কম। ২০১৯-এ ১৮৬টা আসনে কংগ্রেস মুখোমুখি লড়েছিল বিজেপির সঙ্গে, কংগ্রেস পেয়েছিল ১৫টা আসন। সে যাই পাক, মাথায় রাখুন এই ১৮৬টা আসনে বিরোধী ঐক্য ইত্যাদি হলেও ফলাফলে কোনও ফারাক পড়বে কি? আবার ধরুন কেরালা, বাংলা, ওড়িশা, তেলঙ্গানা, এসব জায়গাতে বিরোধী ঐক্য হলে কিন্তু বিজেপির লাভ। সরকার বিরোধী, শাসকদল বিরোধী সমস্ত ভোট এসে জড়ো হবে বিজেপিতে। কিন্তু কিছু রাজ্য আছে যেখানে বিরোধী ঐক্য বিজেপির আসন অনেকটা কমিয়ে রাখবে। ধরুন বিহার, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, ঝাড়খণ্ড, অসম, এমনকী উত্তরপ্রদেশেও এক মহাগঠবন্ধন হলে নির্বাচনে তার প্রভাব পড়ত। কিন্তু এতক্ষণ যে কথাগুলো বললাম তা হল জোট, বিরোধী ঐক্য আর সেই ঐক্যের সরাসরি প্রভাব। কিন্তু সেই ঐক্যের এক রাজনৈতিক প্রভাব আছে দেশ জুড়ে, যে মানুষ বিজেপির বিরুদ্ধে, বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে নানান কারণেই ক্ষুব্ধ, বীতশ্রদ্ধ। সেই মানুষটা একটা বিকল্প চোখের সামনে দেখতে চান, এক ঐক্যবদ্ধ বিরোধী শক্তিকে দেখতে চান, তাঁর এলাকাতে হয় তো কংগ্রেসই লড়বে বিজেপির বিপরীতে, বা তৃণমূল লড়বে বা সমাজবাদী দল লড়বে, কিন্তু সরকার বিরোধী, বিজেপি বিরোধী মানুষজন এক ঐক্যবদ্ধ বিরোধী শক্তির উপরে ভরসা করতে চান। সেই বিরোধী ঐক্য তৈরি হলে সেই মানুষেরা ভরসা পান, একটা পারসেপশন গড়ে ওঠে যে বিজেপি অপ্রতিরোধ্য কেউ নয়, বিজেপিকেও হারানো যায়, হারানো যাবে।

কিন্তু যদি সেই ঐক্য গড়ে না ওঠে? প্রত্যেক বিরোধী দল যদি একে অন্যকে প্রকাশ্যে জেলে পোরো, জেলে ভরো, চোর, অগণতান্ত্রিক ইত্যাদি ইত্যাদি বলতে থাকে, তাহলে বিজেপির হাত শক্ত হয়, বিজেপি বিরোধী মানুষেরা ভরসা হারায়। এবং আমাদের দেশে বিরোধী জোটের প্রয়োজনীয়তা যতটা না আসনের জন্য, যতটা না ভোটের অঙ্কের জন্য তারচেয়ে অনেক বেশি ওই পারসেপশনের জন্য, ওই ধারণার জন্য যে ধারণা এক প্রবল শক্তিকে হারিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। উত্তর ভারত জুড়ে ১৯৭৭-এ এক ধারণা তৈরি হয়েছিল জয়প্রকাশের নেতৃত্বে জনতা পার্টি কংগ্রেসকে হারাতে পারবে, ডাক উঠেছিল সিংহাসন খালি করো কি জনতা আতি হ্যায়। আজ সেই পারসেপশনের জন্যই প্রয়োজন ছিল দেশ জোড়া এক বিরোধী মঞ্চের, যা তৈরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা দেখেছিলেম বিজেপিকেও কিঞ্চিৎ নার্ভাস হতে। তারপর সেই বিরোধী জোট ভাঙতে শুরু করল, নানান ইকুয়েশন, নানান ছকবাজি ভেতরে চলতে শুরু করল, নীতীশ বেরিয়ে গেলেন, ভেঙে গেল এনসিপি, বাংলাতে একলা চলবেন জানিয়েই দিলেন মমতা, ওয়েইনাড়ে লড়বেন বামেদের বিরুদ্ধে রাহুল গান্ধী, জেনে গেল দেশ। কই আর বিজেপি ইন্ডিয়া ঘমন্ডিয়া বলে কথা বলছিল? ইন্ডিয়া জোট নিয়ে তাদের ন্যূনতম কথাবার্তাও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আবার শুরু হল এই কিছুদিন ধরে।

প্রথমে নির্বাচনী বন্ড তারপরে কেজরিওয়ালের গ্রেফতার, আবার বিরোধীদের সম্মিলিত কণ্ঠ শোনা যেতে লাগল। গতকাল রামলীলা ময়দানে বিরোধীরা প্রায় প্রত্যেক দল হলের ভিতরে নয়, প্রকাশ্যে এক মঞ্চে হাজির হলেন প্রথমবারের জন্য। তাকিয়ে দেখুন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নেমে গেছেন মাঠে, বলেছেন ওই যে যাঁরা রামলীলা ময়দানে জড়ো হয়েছেন তাঁরা আসলে ঘোটালাবাজ। হ্যাঁ, রি-অ্যাকশন দিতে বাধ্য হয়েছেন, এটা জেনেই যে সারা দেশে এই ঐক্যের ধারণা ছড়িয়ে গেলে বিপদ আছে, চাপ আছে। এই প্রেক্ষিতেই আসুন গতকালে রামলীলা ময়দানে বিরোধী নেতারা যা বললেন, মানুষের কাছে যা পৌঁছল সেটা নিয়ে ক’টা কথা বলা যাক। প্রথমেই দেখুন এই বাংলাতে মুখোমুখি প্রায় সাপে নেউলে লড়াই লড়ছেন অধীর চৌধুরি মহম্মদ সেলিমেরা মমতার বিপরীতে। কিন্তু ওই মঞ্চে সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গেই হাজির থাকলেন তৃণমূলের দুই সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন আর সাগরিকা ঘোষ এবং দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিলেন, তাঁরা মানে টিএমসি ইন্ডিয়া জোটেই আছেন। একই মঞ্চ থেকে নেমে যাননি সীতারাম ইয়েচুরি, তিনি তাঁর বক্তৃতাতে বললেন যে আমরা যারা সংবিধানকে বাঁচাতে চাই, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে চাই তারা এক মঞ্চে এসে হাজির হয়েছি বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। উনি তো মহম্মদ সেলিমের মতো বলেননি যে তৃণমূল আর বিজেপিকে হারিয়েই দেশে গণতন্ত্র ফেরাতে হবে। যে আপ মূলত কংগ্রেসের সঙ্গেই লড়াই করে নিজেদের এক রাজনৈতিক পরিচিতি আদায় করে নিয়েছে সেই আপ-এর নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে মুক্ত করার দাবিতে মঞ্চে বসে আছেন সোনিয়া, রাহুল, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। রাহুল গান্ধী ওয়েইনাড়ে লড়ছেন ডি রাজার স্ত্রী সিপিআই প্রার্থী অ্যানি রাজার বিরুদ্ধে, কিন্তু ডি রাজা হাজির থাকলেন, বক্তৃতা দিলেন, বললেন বিজেপিকে হারানোর কথা, বললেন ইন্ডিয়া জোটের প্রয়োজনীয়তার কথা। গতকাল মঞ্চের ভাবসাব এরকম ছিল যে আমাদের লড়াই আমরা বুঝে নেব পরে, আপাতত বিজেপির বিদায়টা জরুরি, আমরা সেই কাজটাই আগে করতে চাই। একই সময়ে কৃষ্ণনগরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচার মঞ্চ থেকেই বললেন, আমরা ইন্ডিয়াতেই আছি, ইন্ডিয়া নামটাই তো আমার দেওয়া, কিন্তু এখানে আমরা বিজেপি সিপিএম কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়ব।

আরও পড়ুন: Fourth Pillar | আদানি কিনে নিচ্ছে আমার স্বদেশ

উপচে পড়েছিল ভিড়, মানুষের এতবড় সমাবেশ দিল্লিতে বহুদিন দেখিনি আমরা। কিন্তু এই মঞ্চেই দাঁড়িয়ে অপ্রয়োজনীয়ভাবেই সীতারাম ইয়েচুরি পুরনো ক্ষত চুলকে দিলেন, বললেন, এই রামলীলা ময়দান থেকেই স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার ডাক দেওয়া হয়েছিল। উনি ইন্দিরার জরুরি অবস্থার সময়ের কথা মনে করালেন, বিজেপি নিশ্চিত এই রামলীলা ময়দানেই জনসভা করে সীতারামের এই কথাকেই আবার মনে করাবে, মনে করাবে সেদিনের কংগ্রেসের স্বৈরাচারী শাসনের কথা, ইয়েচুরি সেই সুযোগটা করে দিলেন। হাত ধরে মেন ফ্রেমে রইলেন তাঁরাই যাঁদের সঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে নির্বাচনী ঐক্য হয়েছে, মানে মেন ফ্রেম থেকে বাইরেই রইলেন ইয়েচুরি বা ডেরেক ও’ব্রায়েন, ডি রাজা বা সাগরিকা ঘোষেরা। এরকম কিছু ঘটনা বাদ দিলে বহুদিন পরে দেশজুড়ে পারসেপশন গেমে একটু জায়গা করে নিল বিরোধীরা, এটা প্রয়োজনীয় এক পদক্ষেপ। মঞ্চের সবটুকু না হলেও অনেকটা আলো শুষে নিল দুই ‘বহু’, হেমন্ত সোরেনের বউ আর অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বউ, দুজনেই পেলেন মানুষের সমর্থন। নাই বা হল বাংলাতে এমন সভা, কারণ বাংলা বা কেরালাতে তো এরকম সভা হওয়ার বাস্তব পরিস্থিতি নেই। কিন্তু দেশ জুড়ে? মুম্বই থেকে বেঙ্গালুরু থেকে চেন্নাই থেকে হায়দরাবাদ থেকে লখনউ থেকে শ্রীনগর, এরকম গোটা দশেক সভা হলে এই ধারণার পালে হাওয়া লাগানো সম্ভব। আর কেবলমাত্র তাহলেই বিজেপির এই অশ্বমেধের ঘোড়াকে খানিকটা হলেও সামাল দেওয়া সম্ভব হবে।

বিরোধী ঐক্য, বিরোধী ঐক্য, শুনে শুনে কান পচে গেছে। কীরকম ঐক্য? কেরালাতে কং–সিপিএম লড়াই, কী রকম লড়াই? নির্বাচনের সময় রাহুল গান্ধী বলেছিলেন। সিপিএম-এর আদর্শ, মার্কসবাদ, লেনিনবাদ আজ অচল, বস্তাপচা মতাদর্শ নিয়ে টিকে থাকা যায় না। এদিকে সিপিএম এখনও কংগ্রেসকে, দেশের পুঁজিপতি ও সামন্ত অবশেষের প্রতিনিধিই মনে করে, তাদেরকে সরিয়েই নতুন সমাজ গড়ার লক্ষে তারা অবিচল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে জগাই, সিপিএমকে মাধাই, কংগ্রেসকে গদাই মনে করেন, বলেছেন বহুবার, ভাষণে বলেছেন, সাক্ষাৎকারে বলেছেন। ওদিকে সিপিএম-এর কমরেড সেলিম সকালে সন্ধ্যায়, প্রতি ঘণ্টায় দিদি-মোদি জোটের কথা বলেন, গোটা সিপিএম বা বামফ্রন্টের দলগুলোর বক্তব্য একই। দিল্লিতে ইডি এলে মুর্শিদাবাদ কংগ্রেসের নেতা অধীর চৌধুরী দিল্লির পথে নামেন, এই রাজ্যে ইডি আয়, ইডি আয়, সিবিআই আয় আয় বলে বায়না করেন, সঙ্গে সিপিএম সাংসদ উকিল বিকাশ ভট্টাচার্য, মানুষ তো এসব দেখছে। ঘোষিত নাস্তিক এনসিপির শারদ পাওয়ার, নিজেকে জনেয়ুধারী ব্রাহ্মণ বলা রাহুল গান্ধী, বাবরি মসজিদ ভাঙার গর্ব নিয়ে চলা শিবসেনা মহারাষ্ট্রে মহা বিকাশ আগাড়ির সরকার চালাচ্ছিল। এখন বাইরে থেকে হলেও সমর্থনে মহারাষ্ট্রের একমাত্র সিপিএম বিধায়ক বিনোদ নিকোলে। বিরোধী ঐক্যে আছে, ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং পিডিপি, পিডিপি কিছুদিন আগে বিজেপির সঙ্গে সরকারে ছিল, ফারুক আবদুল্লা প্রসঙ্গে পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি যা যা বলেন, তা কাগজে লেখা যায় না। কংগ্রেস–এসপি উত্তরপ্রদেশে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে, তেলঙ্গানায় বিজেপি ব্যাকফুটে, কিন্তু লড়াই এখন টিআরএস আর কংগ্রেসের ভেতরে। কর্নাটকে দেবেগৌড়ার পার্টি, যযেততে, যখন যেমন, তখন তেমন। আদর্শ গেছে ঘাস কাটতে, বিজেপির সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী হতে কোনও আপত্তি নেই, ওনারা গেছেন এনডিএ-তে। একমাত্র তামিলনাডুতে ছবিটা মোটের ওপর ভালো, তবে এই ডিএমকে এনডিএ-তে ছিল, সে কথাও মনে করানো যাক।

এদিকে মোটের ওপর রবিবারের বাক্য, যা বলা হয়েছে, তার সবটাই হল আদর্শের কথা। এক মহান আদর্শের ভিত্তিতেই নাকি বিরোধী ঐক্য গড়ে উঠেছে, এটা আদর্শের লড়াই, প্রত্যেক দলের নেতারা বলেছেন। মানুষ বিশ্বাস করে? করবে? কেন করবে? কমরেড সেলিম আগামী কাল মোড়ের মাথায় শিঙে ফুঁকে বলবেন, দিদি–মোদি এক হ্যায়, লোকে বিশ্বাস করবে আদর্শের কথা? হ্যাঁ, এইখানেই ঝরে ঝরে পড়েছে মাণিক্য। বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি এরকম জায়গায় চলে গেছে যে, সংবিধানকে রক্ষা করা এবং আমাদের সংবিধান প্রদত্ত অধিকার রক্ষা করা, এইসময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আছে, বিরোধিতা হোক, সরকারের কাজ নিয়ে, নিয়োগনীতি নিয়ে, উন্নয়ন নিয়ে, অপরাধ বা দুর্নীতি নিয়ে, চলুক না বিরোধিতা, তীব্র বিরোধিতা হোক। কিন্তু তারপরেও তো বলাই যায়, যে আমরা দুটো দল ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করি, সংবিধানে আস্থা রাখি, তাই বৃহত্তর স্বার্থে বিজেপির বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ হচ্ছি, মানুষ সেটা বিশ্বাস করবে, বা বলা যায় সেটা বিশ্বাস করা সহজ। কিন্তু দিদি–মোদি এক হ্যায়, বিজেমূল বলার পরে আদর্শের ভিত্তিতে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই? হয় নাকি?

এক সফল বিরোধী ঐক্যের কথা মনে করা যাক। জরুরি অবস্থার সময়ে জয়প্রকাশ নারায়ণের হাত ধরে, সমস্ত বিরোধী দল, সোশ্যালিস্ট, কমিউনিস্ট, জনসঙ্ঘী নেতা আর দল একসঙ্গে এলেন। এলেন শুধু নয়, রাস্তায় লড়লেন, জেলে গেলেন, প্রচার করলেন, সভা করলেন, মানুষ বুঝেছিল স্বৈরাচারী ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে কিছু মানুষ একস্বরে গণতন্ত্রের কথা বলছে, সংবিধান রক্ষার কথা বলছে, মানুষ বিশ্বাস করেছিল। অমন শক্তিশালী ইন্দিরা গান্ধী, কংগ্রেস ধুয়ে মুছে গিয়েছিল। রাস্তায় ঐক্য চাই, মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য ঐক্য চাই, ওসব আদর্শ, নীতির কথা বলার পর প্লেনে চেপে রাজ্যে এসে উল্টোগান, মানুষ বুঝে যাবে, বুঝে গেছে। যদি সত্যিই মনে হয় আরএসএস–বিজেপি, মোদি–শাহ দেশটাকে উচ্ছন্নে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে, যদি সত্যিই মনে হয় আরএসএস–বিজেপি এক নোংরা হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিকে সামনে আনছে, যেখানে তাদের লক্ষ্য হিন্দুরাষ্ট্র, তাদের হাতে দেশের সংখালঘুদের ভবিষ্যৎ বিপন্ন, দেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি বিপন্ন, তারা সংবিধানকেও ধ্বংস করতে চায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রত্যেকটা দলকে, আন্দোলনের রাস্তাতেই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সে লড়াইয়ে মানুষকে পাশে পেতে গেলে, সে একতাকে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠতে হবে, সেই বিশ্বাসযোগ্যতার অর্জনের প্রথম ধাপ ছিল দিল্লির সমাবেশ, কিন্তু এখানেই থামলে হবে না, এমন সমাবেশ দেশজুড়ে করতে হবে, তাহলেই মানুষ ভরসা পাবেন।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
TMC | ‘অভিজিৎকে দেখার পর কে বিচারপতি আর কে নেতা, তা নিয়ে দেশবাসী বিভ্রান্ত’, মন্তব্য ব্রাত্যের
06:14
Video thumbnail
Bikash Ranjan Bhattacharya | SSC মামলার রায় নিয়ে আদালতে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য
04:36
Video thumbnail
Loksabha Election | জুনকে পাশে নিয়ে নাম না করে দিলীপকে কটাক্ষ, দাঁতন থেকে এবার মেদিনীপুর চান মমতা
28:09
Video thumbnail
Lok Sabha Election | বিধায়কের শিক্ষা নিয়ে কটাক্ষ তৃণমূলের
02:19
Video thumbnail
Murshidabad | বড়ঞা বোমা বিস্ফোরণে রিপোর্ট তলব কমিশনের
02:13
Video thumbnail
SSC Chairman | 'আমরা ধরে নিতে পারি, বাকি ১৯ হাজার যোগ্য', কলকাতা টিভিকে বললেন এসএসসি চেয়ারম্যান
09:14
Video thumbnail
ধমযুদ্ধের দামামা | আরও ৫৯ হাজার চাকরি যাবে: অমরনাথ শাখার
17:00
Video thumbnail
SSC Recruitment | মুখ্যমন্ত্রীর আদালত অবমাননাকর মন্তব্যে পদক্ষেপের আর্জি নিয়ে হাইকোর্টে বিকাশরঞ্জন
01:59
Video thumbnail
আমার শহর (Amar Sahar) | সচেতনতার প্রচারে কমিশনের নয়া উদ্যোগ, পরিবেশ বান্ধব পোস্টের!
02:14
Video thumbnail
Top News | নিয়োগ বাতিলের মধ্যেই ১৫ বছর পর ৮৬৭ জনের চাকরির নির্দেশ হাইকোর্টের
39:01