ক্যানিং: খুনের অর্ডার নেওয়া হয় বলে তৈরি ভিজিটিং কার্ড ও তা এলাকায় পোস্টার সাঁটিয়ে প্রচার। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটলো ক্যানিং থানার গোপালপুর পঞ্চায়েতের ধর্মতলা গ্রামে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্যানিং থানার গোপালপুর পঞ্চায়েতের ধর্মতলা গ্রামে মোরসালিম মোল্লা নামে এক যুবক এলাকায় পোস্টার লাগিয়ে খুন করা হয় বলে ভিজিটিং কার্ড ছাপায়। ক্যানিং থানার পুলিশ তদন্তে নেমে মোরসালিমকে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে একটি আগ্নেয় অস্ত্র, দুটি কার্তুজ সহ ভিজিটিং কার্ড উদ্ধার করেছে।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ৭ জুলাই গোপালপুর পঞ্চায়েতের ধর্মতলা গ্রামের তৃণমূল নেতা স্বপন মাঝি সহ তিনজনকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে, কুপিয়ে খুন করা হয়। সেই ঘটনায় পুলিশ মূল অভিযুক্ত রফিকুল সর্দারকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর তাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায় রফিকুল সরদার যে আগ্নেয় অস্ত্র ব্যবহার করেছিল সেটি মোরসেলিম মোল্লার কাছ থেকে কয়েক দিন পরে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ মোরসেলিমকে বেলেগাছি থেকে একটি অটো সহ গ্রেফতার করে। আলিপুর আদালতে পাঠালে তার সাত দিনের পুলিশ হেফাজত হয়। পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পরে জানতে পারে মোরসেলিম আগ্নেয় অস্ত্র সরবরাহ করতো। এরপরে জামিনে মুক্ত হয়ে বেশ কয়েকদিন এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়ে থাকত সে।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে ১১ সেপ্টেম্বর আদালতে বিস্ফোরক প্রমাণ পেশ করবে সিবিআই
মাঝেমধ্যে এলাকায় এলে সেখানকার মানুষদের ভয়-ভীতি দেখাতো সে বলে এমনই জানা যায়। তবে তার ভিজিটিং কার্ডে হাফ মার্ডার ও ফুল মার্ডার করার জন্য অর্ডার নেওয়া হয় বলে ছাপানো হয়। হাফ মার্ডার করলে পঞ্চাশ হাজার ও ফুল মার্ডার করলে এক লক্ষ টাকা নেওয়া হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়। তবে তাকে পুলিশ ১০ দিনের তদন্তের স্বার্থে নিজেদের হেফাজতে নেবে বলে আদালতে আবেদন জানাবে। তবে সে কোথা থেকে এই ভিজিটিং কার্ড করল এবং কোথায় কোথায় এই কার্ড বিলি করলো তার তদন্ত করছে ক্যানিং থানার পুলিশ। তবে এই ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে ধৃতের পরিবার এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে।