Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeখেলাপ্রথম ম্যাচেই গোল করলেন রোনাল্ডো, দাপটে খেলে ঘানাকে হারিয়ে দিল পর্তুগাল

প্রথম ম্যাচেই গোল করলেন রোনাল্ডো, দাপটে খেলে ঘানাকে হারিয়ে দিল পর্তুগাল

Follow Us :

পর্তুগাল–৩   ঘানা–২
( রোনাল্ডো-পেনাল্টি, জুড ফেলিক্স, রিও লিয়াও)   (আন্দ্রে আইয়ু, ও বুকারি)

ওস্তাদের মার প্রথম রাতেই। সব রকমের বিতর্কের মুখে জল ঢেলে দিয়ে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো বোঝালেন, তিনি ছিলেন, তিনি আছেন এবং তিনি থাকবেন। কাতার বিশ্ব কাপের প্রথম ম্যাচেই সি আর সেভেন গোল করলেন। টিমকে প্রায় শেষ পর্যন্ত নেতৃত্ব দিলেন এবং ডাগ আউটে বসে হাসি মুখে একটা দুর্দান্ত জয় দেখলেন। এবং এ সবের মধ্যেই রোনাল্ডো একটা অসাধারণ রেকর্ডও করে ফেললেন। এটা তাঁর পাঁচ নম্বর বিশ্ব কাপ। সেই ২০০৬ থেকে খেলছেন। এবং পাঁচ নম্বর বিশ্ব কাপের প্রথম ম্যাচেই গোল করে সব কটা বিশ্ব কাপে গোল করার রেকর্ড করে ফেললেন। এই ব্যাপারে তিনি ছাপিয়ে গেলেন ফুটবল সম্রাট পেলে (৪), মিরোস্লাভ ক্লোজে (৪), লিওনেল মেসি (৪) এবং উয়ে সিলারকে (৪)। পাশাপাশি বিশ্ব কাপে রোনাল্ডোর গোল হয়ে গেল আট। তাঁর সামনে এখন রয়েছেন শুধু কিংবদন্তী ইউসেবিও। বিশ্ব কাপে তাঁর গোল হল নয়। মনে হচ্ছে, এই বিশ্ব কাপেই রোনাল্ডো ছাপিয়ে যাবেন ইউসেবিওকে।

প্রশ্ন উঠতে পারে পর্তুগাল তো হারাল ঘানাকে। শেষ কুড়ি মিনিটে চরম নাটকীয়তায় ভরে গেল ম্যাচটা। যেন একটা বিস্ফোরণ গটল স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ। সেই বিস্ফোরণে আগুন ধরে গেল সমর্থকদের মধ্যে। এক বার এদিকে তো একবার ওদিকে। তাহলে এ সব ছেড়ে রোনাল্ডোকে নিয়ে এত কথা লেখার কী দরকার। সেটা এই কারণেই যে কী অপরিসীম চাপ বুকে নিয়ে তাঁকে গত চার দিন কাটাতে হয়েছে। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে তাঁর সম্মানজনক বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। সেটা ওই ক্লাব খুব বড় করে জানিয়ে দিয়েছে। যেন বিশ্ব কাপের পরে জানালে বাইবেল অশুদ্ধ হয়ে যেত। তার সঙ্গে আবার রোনাল্ডোকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের (যদি তিনি আদৌ আর সেখানে খেলেন) দুটো ম্যাচে সাসপেন্ড করা হয়েছে চার মাস আগে এক প্রতিবন্ধী ভক্তের হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে সেটা আছড়ে ভেঙে ফেলার অপরাধে। সব কিছুই বিশ্ব কাপের আগে করা হল। কিন্তু তিনি তো ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। পাঁচ বারের ব্যালন দ্য ওর জয়ীল দেশের জার্সি গায়ে ১১৮টা গোল করা হয়ে গেল তাঁর। তাঁকে এ সব দিয়ে মোচড়ানো যায়? যায় যে না সেটা বোঝা গেল যখন জাতীয় সঙ্গীত গাইছেন তাঁর সতীর্থরা। রোনাল্ডোর চোখের কোণে কি জল চিকচিক করছিল? হয়তো করছিল, হয়তো না না। কিন্তু প্রতিজ্ঞাবদ্ধ মুখটা দেখে মালুম হচ্ছিল মাঠের বাইরের ব্যাপারে তাঁর কোনও মন নেই। পাখির চোখ হিসেবে তিনি দেখছেন পর্তুগালের জয়।

ম্যাচের প্রথম ৪৫ মিনিট নিয়ে তেমন কিছু বলার নেই। ঘানা পাঁচ ডিফেন্ডার ও চার মিডফিল্ডারে দল সাজিয়েছিল। সেই পায়ের জঙ্গলে হারিয়ে যাচ্ছিল ব্রুনো ফার্নান্ডেজ, ঝুড ফেলিক্স কিংবা বার্নাড সিলভাদের সব চেষ্টা। তাহলে কি আবার আর একটা আঘটন? মেসিরা হেরেছেন, ম্যানুয়েল ন্যয়াররা হেরেছেন। এবার কি রোনাল্ডোর পালা। না বিরতির পর খেলাটা ঘুরে গেল। ৬৫ মিনিটে রোনাল্ডো নিজে গোল করলেন পেনাল্টি থেকে। তাঁকে পিছন থেকে ধরে রেখেচিলেন ঘানার ডিফেন্ডার। নিজেই নিলেন পেনাল্টি এবং গোল। এর পরেই খেলাটা যান ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে গেল। ঘানা ডিফেন্সিভ খোলস ছেড়ে বেরোল। ম্যাচটা হয়ে গেল ওপেন। ৭৩ মিনিটে পর্তুগালের লেফট ব্যাক জোয়াও কানসেলোর পাশ দিয়ে বল নিয়ে বেরোলেন কুডুস। এবং এমন ভাবে ছয় গজের মধ্যে বল রাখলেন অধিনায়ক আইয়ুর জন্য যে তাঁর গোল না করাটাই ছিল মুশকিল। কিন্তু এর সাত মিনিটের মধ্যে ম্যাচ আবার পর্তুগালের পকেটে। ৭৮ মিনিটে জুড ফেলিক্স এবং তার দু মিনট পরে রিও লিয়াও পর পর দুটো গোল করে ফেললেন। রোনাল্ডো শুধু হাসছেন। কিন্তু আবার ভুল করলেন জোয়াও ক্যানসেলো। আবার গোল করল ঘানা। এবার বুকারি। কিন্তু আর কোনও অগটন ঘটেনি। ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, স্পেনের মতো পর্তুগালও সসম্মানে উত্তীর্ণ। শুধ ডিফেন্স নিয়ে একটু চিন্তা রয়ে গেল। কারণ এইচ গ্রুপে বাকি দুটো টিম উরুগুয়ে এবং কোরিয়া কিন্তু ঘানার চেয়ে ভাল। তবে আজ এসব কথা থাক। আজ শুধু রোনাল্ডো, রোনাল্ডো এবং রোনাল্ডো।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Recent Comments