অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত সম্পর্কে এক কথায় বলতে গেলে বলতেই হয় ঋতু আসে ঋতু যায় , ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত থেকে যায়। দশকের পর দশক ধরে সিনেপ্রেমী বাঙালির মনে রয়েছেন তিনি। বক্স অফিস থেকে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব সর্বত্র ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর অভিনয় প্রতিভা প্রশংসিত।
এবার তাঁর মুকুটে নতুন পালক যোগ হল। আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর শিরোপা পেলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
ইন্দ্রাশিষ আচার্য পরিচালিত ছবি ‘পার্সেল’ এ অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতে নিলেন ডি সি সাউথ এশিয়ান চলচ্চিত্র উৎসবে। বাংলা ছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও বলিউডের বেশ কিছু ছবির কাজ করছেন অভিনেত্রী। তবে ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি তাঁর অনুভূতির কথা জানালেন কলকাতা টিভিকে।
জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত জানান , ” আমার কাছে একাধারে এটা খুবই গর্বের ও আনন্দের যে এই সুন্দর পুরস্কার এসেছে আমার কাছে। পার্সেল খুবই সেনসেটিভ ও সেন্সেবল ছবি, এই ধরণের ভালো ছবির অবশ্যই পুরস্কার ও স্বীকৃতি পাওয়া দরকার। এই ছবি স্বীকৃতি পেলে অবশ্যই ইন্দ্রাশিষ এর মত নতুন পরিচালকরা উৎসাহিত হবেন। ইন্দ্রাশিষ আচার্যকে একজন খুবই প্রতিভাশালী পরিচালক বলেই মনে করি আমি, এর আগে ইন্দ্রাশিষ “বিল্লুরাক্ষস”, ‘পেউপা’র মত ছবি করেছেন , এর পরই তিনি বানিয়েছেন ‘পার্সেল’।
এর আগে এই ছবি কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ পরিচালকের স্বীকৃতি পেয়েছে। এছাড়াও পৃথিবীর নামকরা বহু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়েছে, এই ছবিটি এর আগেও জোগজা নেটপ্যাক এশিয়ান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ইন্ডোনেশিয়ায় স্পেশাল মেনশন পেয়েছে, এছাড়াও নিউইয়র্ক ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ও মেলবোর্ন ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও দেখানো হয়েছে।”
অভিনেত্রী আরও বলেন ” সাউথ এশিয়ান এই ফেস্টিভ্যাল খুবই নামকরা প্রেস্টিজিয়াস একটি ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। এখানে বহু এশিয়ান চলচ্চিত্রের সঙ্গে লড়াই করে এই পুরস্কার পাওয়া ও জুরিদের আমার অভিনয় পছন্দ হওয়া, এটা আমার কাছে একটা বড় প্রাপ্তি।”
‘পার্সেল ‘ ছবিতে তাঁর অভিনীত এই চরিত্র নন্দিনী দর্শকদের মনকে ছুঁয়ে গেছিল। এই চরিত্রে অভিনয়ের কথা বলতে গিয়ে নায়িকা জানান, ” নন্দিনী চরিত্রটা করে আমার নিজের খুবই ভালো লেগেছিল কারণ , ভীষণ লেয়ার্ড একটি চরিত্র , এই নন্দিনীর মধ্যে যেমন আবেগ রয়েছে, তেমনই রয়েছে দৃঢ়তা। তাই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য পুরস্কৃত হয়ে আমি খুবই খুশি এবং আশা করবো এরকম আরও অনেক পুরস্কার আমি আমার ছবিকে এনে দিতে পারবো।”
সব শেষে তিনি দর্শকদের কাছে অনুরোধ জানান, এই ধরনের ভালো ছবি যেন দর্শক সাপোর্ট করে, ভালো ছবি দেখার প্রবনতা যেন বাড়ে। তাহলেই আরও ভালো কাজ উপহার দিতে পারবেন তিনি।