নয়াদিল্লি: ‘নায়ক’ (Nayak) শুধুমাত্র সত্যজিতেরই (Satyajit Ray), রায় আদালতের। আদালত এও জানায়, যেহেতু পরিচালক প্রয়াত তাই যাবতীয় স্বত্ত্ব একমাত্র উত্তরাধিকার সত্যজিৎ-পুত্র সন্দীপ রায় এবং ‘সোসাইটি ফর প্রিজারভেশন অফ সত্যজিৎ রায় আর্কাইভস’-এর।
১৯৬৬ সালে মুক্তি পেয়েছিল আর ডি বনশল প্রযোজিত, সত্যজিৎ রায় (Satyajit Ray) পরিচালিত ‘নায়ক’ (Nayak)। ইন্ডাস্ট্রিতে একজন অভিনেতার উত্থান-পতন এবং একটি ট্রেন জার্নি নিয়ে ছবির চিত্রনাট্য সাজিয়েছিলেন পরিচালক। সম্প্রতি ‘নায়ক’-এর চিত্রনাট্যের ভিত্তিতে ভাস্কর চট্টোপাধ্যায়ের লেখা একটি উপন্যাস প্রকাশ করেছে প্রকাশক সংস্থা হার্পার কলিন্স। তার পরেই প্রশ্ন ওঠে ‘নায়ক’-এর আসল স্বত্বাধিকারী কে? মামলা গড়ায় দিল্লি হাইকোর্ট অবধি। মঙ্গলবার সেই মামলারই শুনানিতে আদালত রায় দেয় ‘নায়ক’ সত্যজিতেরই।
আরও পড়ুন: Sahid Kapoor | Bloody Daddy | শাহিদ এবার ‘ব্লাডি ড্যাডি’
২০১৮ সালে এই বিবাদের সূত্রপাত। ‘নায়ক’ চিত্রনাট্যের উপর ভিত্তি করে একটি উপন্যাস লিখেছিলেন লেখক-সাংবাদিক ভাস্কর চট্টোপাধ্যায়। প্রযোজক সংস্থার দাবি, ২০১৮-র ১০ এপ্রিল ‘সোসাইটি ফর প্রিজারভেশন অফ সত্যজিৎ রায় আর্কাইভস’-এর এক চিঠিতে বিষয়টি জানে তারা। বইটির প্রকাশ অনুষ্ঠানে ছবিটি দেখানোর অনুমতি চেয়ে প্রযোজকের কাছে চিঠিও দেয় সত্যজিৎ রায় সোসাইটি। এরপরেই দুই পক্ষের বিবাদ শুরু। প্রযোজক সংস্থার দাবি, তারাই চুক্তির ভিত্তিতে প্রয়াত পরিচালককে চিত্রনাট্য লেখার কথা বলেন। ফলে, ছবির যাবতীয় স্বত্ত্বের উপরে সবার আগে তাদের অধিকার। কোনও তৃতীয় পক্ষ এর ভিত্তিতে উপন্যাস লিখলে সেটা বনশল পরিবারের অনুমতি ছাড়া প্রকাশ করতে পারবে না।
এরপরই প্রকাশক সংস্থা হার্পার কলিন্স আদালতে সত্যজিৎ রায়ের পুত্র সন্দীপ রায় ও ‘রে সোসাইটি’র অনুমতিপত্র জমা দেয়। তারা জানায়, এই উপন্যাস প্রকাশের আগে স্বয়ং চিত্রনাট্যকার তথা পরিচালকের আইনি স্বত্বাধিকারী পরিবারের অনুমতি নেওয়া হয়েছে। বনশল পরিবারের অনুমতি এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নয়। মঙ্গলবার সেই প্রমাণের ভিত্তিতেই রায় দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে, ছবির চিত্রনাট্য লিখেছিলেন সত্যজিৎ রায় স্বয়ং। সেখানে প্রযোজকের কোনও অবদান ছিল না। তাই চিত্রনাট্যের স্বত্বাধিকারী সত্যজিতই।