Placeholder canvas

Placeholder canvas
Homeআন্তর্জাতিকAfrin Fatima: মুসলিম সমাজকে এসওএস বার্তা আফরিন ফতিমার

Afrin Fatima: মুসলিম সমাজকে এসওএস বার্তা আফরিন ফতিমার

Follow Us :

কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: সারা দেশের মুসলিম সমাজকে বিজেপির বুলডোজার নীতির বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার জন্য এসওএস বার্তা দিলেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেত্রী আফরিন ফতিমা। বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার মন্তব্যের প্রতিবাদে আন্দোলন করায় প্রয়াগরাজে ফতিমাদের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে একেবারে গুঁড়িয়ে দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। এক ভিডিয়ো বার্তায় ফতিমা বলেন, দেশের মুসলিম সমাজ এখন চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে কোনও কথা বললেই শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এসব চলবে না। কোনও প্রতিবাদ করলেই শাস্তির মুখে পড়তে হবে। মুসলিম সমাজের কোমর ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেই হবে।

ফতিমার বাবা জাভেদ মহম্মদ ওয়েলফেয়ার পার্টির নেতা। ওই দলের ছাত্র সংগঠনের জাতীয় সম্পাদক। তিনি এবং তাঁর বাবা দুজনেই সক্রিয় রাজনীতি করেন। মুসলিম সমাজের প্রতি বঞ্চনার বিরুদ্ধে তাঁরা বরাবরই সরব। বিজেপি নেত্রী পয়গম্বর নিয়ে যে মন্তব্য করেন, তার বিরুদ্ধে দেশে তীব্র আন্দোলন হয় গত মাসে। কোথাও কোথাও হিংসাত্মক ঘটনাও ঘটে। অভিযোগ, প্রয়াগরাজে গত মাসের ১১ ১২ তারিখে যে বিক্ষোভ হয়, তার নেতৃত্ব দেন ফতিমার বাবা। এই কারণেই প্রয়াগরাজে তাঁদের বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এর সমর্থনে প্রকাশ্যেই মুখ খুলেছেন উত্তরপ্রদেশের একাধিক বিজেপি নেতা এবং মন্ত্রী। বিজেপি সরকারের এই বুলডোজার নীতির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। বিরোধীরা আন্দোলনে নেমেছে।

মাত্র ২২ বছর বয়সি ছাত্রনেত্রী ফতিমা ভয় উপেক্ষা করে বিজেপির এই বুলডোজার নীতির বিরুদ্ধে ভিডিয়ো বার্তায় মুখ খুলেছেন। মুসলিম সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদে শামিল হতে বলেছেন তিনি। ফতিমা বলেন, গত ১২ জুন আমাদের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশের মানুষ টিভিতে লাইভ টেলিকাস্টে সেই দৃশ্য দেখেছেন। এটা পরিষ্কার যে, মুসলিম সমাজকে দাবিয়ে রাখার জন্যই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সেদিন যা হয়েছে, তা ভাষায় প্রকাশ করার শক্তি আমার নেই।

আরও পড়ুন- Spiritual Leader Dead: নাসিকে গুলিতে হত আফগানিস্তানের ধর্মীয় নেতা

তিনি বলেন, কেন্দ্রের অপকর্মের প্রতিবাদ করলেই শাস্তির খাঁড়া নেমে আসছে। আমাদের বাড়ি বেআইনি, এই অজুহাত দেখিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এর পিচিনে আসল উদ্দেশ্য পরিষ্কার। সেটা হল, মুসলিম সমাজকে ভয় পাইয়ে রাখ, ওদের প্রতিবাদ করতে দিও না। দেশের ২০ কোটি মুসলমান এখন চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতেই হবে।

RELATED ARTICLES

Most Popular