কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক : দিল্লির ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ৯ বছরের কিশোরীর রহস্য মৃত্যু মামলায় নতুন তথ্য প্রমাণ সামনে আনল পুলিশ। চার্জশিটে দেওয়া এই নতুন তথ্য প্রমাণ অনুযায়ী, দমবন্ধ হয়ে হওয়ার কারণে মৃত্যু হয়েছে ওই নাবালিকার।
এছাড়াও ওই নাবালিকার মৃত্যুর সময় কুলারে কোনও কারেন্ট ছিল না বলেও জানা গিয়েছে। প্রধান অভিযুক্ত পুরোহিত রাধে শ্যামের ফোনের ব্রাউসিং হিস্ট্রি পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে তার পর্নে আসক্তি ছিল। সে নিজের মোবাইলে ১৩০০ টিরও বেশি পর্ন সাইট অ্যাক্সেস করেছিল।
ঠিক কী হয়েছিল ?
২ আগস্ট ৯ বছর বয়সী নাবালিকাকে ধর্ষণ করে দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এক পুরোহিত-সহ ৪ ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ৪ জনকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। চলছিল তদন্ত। তবে, নাবালিকার পরিবারের তরফ থেকে বার বার ধর্ষণের অভিযোগ তোলা হচ্ছিল। এরপরেই বিষয়টির তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তৈরি করা হয় চার্জশিট।
আরও পড়ুন – অসমে ‘অনুপ্রবেশকারী’দের হঠাতে অভিযান, নির্বিচারে গুলি পুলিশের, মৃত ২
পুলিশের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই নাবালিকার বাবা-মায়ের দারিদ্রতা ও নিরক্ষর হওয়ার সুযোগ নিতে চেয়েছিল ওই পুরোহিত। টাকা দিয়ে মুখও বন্ধ করাতে ছেয়েছিল। এমনকী নিজের অপরাধ ঢাকতে মেয়েটির মৃত্যু কুলারে কারেন্ট খেয়ে হয়েছে বলে জানিয়েছিল ওই পুরোহিত। তড়িঘড়ি প্রমাণ লোপাটের জন্য মেয়েটিকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই সময় নিজের ফোনটিও পুড়িয়ে দেয় সে। আধপোড়া ফোনটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন – দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন শিখরে পৌঁছবে, কমলা হ্যারিসকে ভারতে আমন্ত্রণ মোদির
তদন্তের পর পুলিশ ওই নাবালিকার মৃত্যুর কারণ হিসেবে জানিয়েছে, পুরোহিত রাধেশ্যাম যখন শিশুটিকে ধর্ষণ করছিল, তখন অন্য অভিযুক্ত কুলদীপ সিংহ নাবালিকার হাত ধরে ছিল। রাধেশ্যাম মেয়েটির মুখ নিজের হাত দিয়ে চেপে রেখেছিল। সেই কারণেই মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার। এই ঘটনায় অভিযুক্ত চারজন বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে।