Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeCurrent Newsচতুর্থ স্তম্ভ: না থার্ড ফ্রন্ট নয়

চতুর্থ স্তম্ভ: না থার্ড ফ্রন্ট নয়

Follow Us :

ওসব থার্ড ফ্রন্ট, ফোর্থ ফ্রন্ট ইত্যাদি দিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে হারানো যাবে না, সাফ জানিয়ে দিলেন পি কে, প্রশান্ত কিশোর। কেন বললেন? আবার সময়টা খেয়াল করুন, ঠিক যেদিন দিল্লিতে এক ঝাঁক রাজনৈতিক নেতা এবং সমাজের কিছু সেই রকম মানুষ, যাঁদেরকে ওপিনিয়ন মেকার বলা হয়, তাঁরা শরদ পাওয়ারের বাড়িতে এলেন, সেই দিনই তিনি এই কথা বললেন কেন? আসলে মার্কেট স্ট্রাটেজির চৌখস খেলোয়াড় প্রশান্ত কিশোর জানেন, মুন্নি বহুকাল আগেই বদনাম হুয়া, আর ওই বদনামের ভাগিদার হতে তিনি রাজী নন, তৃতীয় ফ্রন্ট ইত্যাদি মানুষ অনেক দেখেছে, সেই কবে থেকে ওই সব জোড়াতাপ্পি দেওয়া ফ্রন্ট দেখে দেখে মানুষ বিরক্ত, সে সব ফ্রন্টে প্রধানমন্ত্রীর জন্য কি আকচা আকচি, ঊরিব্বাস, এবং সেসব সরকার চালানেওয়ালারা বেশিরভাগ সময়েই সরকারেই থাকেনি, দূর হইতে, বাহির হইতে সমর্থন করিয়াছে, তাতে প্রচুর লাভ, কন্ট্রাক্ট, টেন্ডার, ট্রান্সফারের মধুভাণ্ডও হাতে থাকলো, অথচ দায় থাকলো না, সময় মত যে কোনও কারণ দেখিয়ে, বাপি বাড়ি যা, সরকার ভেঙে দিলেই হবে, আর কিং মেকারের মেজাজই আলাদা, মনে নেই, ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে বুদ্ধ ভট্টাচার্যের সেই বক্তৃতা, ‘ওরা বসতে বললে বসবে, উঠতে বললে উঠবে’ ওরা মানে কংগ্রেস আর মনমোহন সিং, শুনেই বলেছিলাম, কি দাপট। তো যাই হোক মানুষের স্মৃতিতে আছে একধারে স্যোশ্যালিস্ট, অন্যধারে জনসংঘকে নিয়ে জনতা সরকার, বছর গড়িয়েছে, সরকার পড়েছে ৮২৬ দিনে, মানে দু বছর পার করেই পড়ে গেছে সাধের জনতা সরকার, যখন এসেছিল, তখন মনে হয়েছিল, কংগ্রেস বোধহয় মুছেই গেলো কিন্তু মাত্র ৮২৬ দিন পরে সরকার পড়ে গেলো, নির্বাচনে ফিরে এল কংগ্রেস। মধ্যে আরও সংক্ষিপ্ত চরণ সিংয়ের সরকার, চরণ সিং হোম মিনিস্টার থাকাকালীন ইন্দিরা গান্ধীকে গ্রেফতার করেছিল, সম্ভবত তার বদলা, চেয়ারে বসিয়েই চেয়ার টেনে নিল কংগ্রেস, ইন্দিরা গান্ধী ফিরে এলেন, এরপর আবার ওই জগাখিচুড়ি সরকার হল ভি পি সিংহের সময়, একধারে বামপন্থী, কমিউনিস্টরা। অন্যধারে জনসংঘ, আচার বিচার, রীতিনীতি সব শেষ, কংগ্রেস হল গিয়ে প্রধান শত্রু, তাকে সরাতে জনসংঘের হাত ধরল কমিউনিস্টরা, তখন আরএস এসের খবর তারা জানতো না, সে সরকার ফেলে দিল বিজেপি, ৩৪৩ দিন সরকারে ছিলেন ভি পি সিং, বিজেপির কাজ সারা হয়ে গেছে, এলেন চন্দ্রশেখর, ইনিই বা ছাড়েন কেন? একসময়ের তরুণ তুর্কি, ইনি রইলেন ২২৩ দিন, ভাবা যায়? মাত্র ২২৩ দিন। পরবর্তীকালে আমরা পেয়েছি দুটো ফুল টার্ম, একটা নরসিংহ রাও, পরেরটা অটলবিহারি বাজপেয়ী, দুটো ক্ষেত্রেই কংগ্রেস, বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না, কিন্তু তারাই ছিল সব থেকে বড় দল, তবে নরসিংহ রাওয়ের পর অটলবিহারী প্রথম দফায় ১৩ দিনের সরকার গঠন করেন, আবার জগাখিচুড়ি সরকার, সি পিএম টগর বোষ্টমীর ভূমিকায় চলে গেলো, জ্যোতিবাবুকে দল প্রধানমন্ত্রিত্বে যেতে দিল না, বিপ্লবী দল তো। সেই সুযোগে অখ্যাত দেবেগৌড়ায় ভাগ্যের শিকে খুলে গেলো, তিনি প্রধানমন্ত্রী হলেন ৩২৪ দিনের জন্য, সরকার পড়ে গেলো, এলেন আই কে গুজরাল, তিনিও ৩৩২ দিনের জন্য, ১৯৯৮ তে অটলবিহারী গঠন করেন ফুলটার্ম সরকার, কিন্তু ইন্ডিয়া শাইনিংয়ের শ্লোগান দিয়ে চলে গেলেন অটল বিহারি, আবার নির্বাচন, এবার কংগ্রেস, কিন্তু ইউ পি এ, বাইরে থেকে বামেদের সমর্থন, কিন্তু অনেক শক্তিশালী কংগ্রেস, ইউ পি এ টু এর সময় সেটা সিপিএম টের পেয়ে গেছে, কিন্তু ওই মনমোহনের সময় থেকে স্টেবল সরকার, স্থায়ী সরকারের স্বাদ আবার ফিরে পেয়েছে দেশের মানুষ, যার ফলে নরেন্দ্র মোদীর সময়ে হাজার একটা গঠবন্ধন, মহাগঠবন্ধন, মহাজোট, ফেডারেল ফ্রন্ট ইত্যাদি হবার পরেও মানুষ পাত্তাও দেয়নি, বিরোধীরা ছত্রভঙ্গ বলেই, কোনও বিকল্প নেই বলেই নরেন্দ্র মোদী আছেন, বিকল্প গড়ে না উঠলে তিনিই থাকবেন, একটা বিশ্বাসযোগ্য মুখ চাই, ভরসা করার মত মানুষ চাই এবং সবথেকে বড় কথা হল, বিরোধী দলগুলোর একটা বিশ্বাসযোগ্য ঐক্যমত্য চাই, না হলে মোদী বিদায় অসম্ভব। এটা আমি জানি, আপনারা জানেন আর পি কে জানেন না, বিলক্ষণ জানেন, আর জানেন বলেই সলতে পাকানো শুরু করেছেন, হাতে তিন বছর সময় নিয়ে, তাই তিনিই আগেভাগে বলে দিলেন, আজ বৈঠক, কিন্তু এই বৈঠকে কোনও থার্ড ফ্রন্ট, ফোর্থ ফ্রন্ট কিচ্ছু তৈরি হবার সম্ভাবনা নেই, মানে পচে যাওয়া, হেজে যাওয়া বাজে ব্রান্ডের সঙ্গে নিজের ব্রান্ডকে জড়িয়ে নিতে নারাজ প্রশান্ত কিশোর, গুড মার্কেটিং স্ট্রাটেজি। তো মিটিং হল শরদ পাওয়ারের বাড়িতে, এই শরদ পাওয়ার ভারতীয় রাজনীতির এমন মানুষ, যাঁর সরাসরি রাজনৈতিক প্রভাব মহারাষ্ট্রের কিছু জেলার মধ্যেই সীমিত, কিন্তু যোগাযোগ সবখানে, শিল্প, বাণিজ্য, রাজনৈতিক মহলের সব মানুষজনদের উনি চেনেন, আর ওনার রাজনীতি করার ধরনটাই আলাদা, এক্কেবারে সিওর না হয়ে উনি মাঠে নামেন না, সম্ভবত অমিত শাহের ওভার কনফিডেন্স ওনার ধারণাকে ঘেঁটে দিয়েছিল, তাই তিনি নির্বাচনের আগে বাংলায় আসবেন বলেও, অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পরে আসেননি, কেবল শুভেচ্ছা পাঠিয়েছিলেন, এখন তিনি অনেক কনফিডেন্ট বলেই মাঠে নেমেছেন, আর কে এলেন? শরদ যাদব বলেছেন এই বৈঠক ডেকেছেন যশবন্ত সিনহা, রাষ্ট্রমঞ্চ বলে এক সংগঠনের পক্ষে, ওসব বলতে হয় তাই বলা। যশবন্ত সিনহা, আগে বিজেপিতে, বিজেপির বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে, উনি আসা মানে অরুণ শৌরি, প্রশান্ত ভূষণ, যোগেন্দ্র যাদবরাও লাইনেই আছেন, এবং মাথায় রাখুন যশবন্ত সিনহা এখন তৃণমূল, মানে পেছনে একটা রাজ্য, শক্তিশালী দল আছে, যারা মোদী শাহকে হারালো। এসেছেন জেডিইউ থেকে বহিষ্কৃত পবন বর্মা, বিহারে কোনও ক্রমে জিতেছে জেডিইউ – বিজেপি জোট, সেখানে তেজস্বীর সঙ্গে যদি পবন বর্মাও জুড়ে যায়, তাহলে অর্ধেক আসন এমনিতেই চলে যাবে। আএর সঞ্জয় সিং হাজির, ফারুক আবদুল্লা হাজির ছিলেন, এই আরেকজন, সব্বার সঙ্গে যোগাযোগ, কংগ্রেস, বিজেপি সব মন্ত্রীসভায় ছিলেন, এখনও কাশ্মীরের একনম্বর নেতা, এরপর জাভেদ আখতর, বাম বুদ্ধিজীবী, কে টি এস তুলসি, ৮৪ শিখ নিধন যজ্ঞের বিরুদ্ধে আইনী লড়াইয়ের জোরালো মুখ, করণ থাপার, সাংবাদিক, মাথায় আছে তো, ওনার সামনে একগ্লাস জল খেয়ে মোদীজি সাক্ষাৎকার ছেড়ে পালিয়েছিলেন, আজতকের আশুতোষ, মধ্যে আপে ছিলেন, মোদী বিরোধী মুখ। মজিদ মেমন, সংখ্যালঘুদের উদার মুখ, বন্দনা চৌহান সাংসদ এনসিপি, এসওয়াই কুরেশি, সংখ্যালঘু উদার মুখ। সঞ্জয় ঝা, ইনি একজন বটে, খেলোয়াড় থেকে গায়ক, শিল্পপতি থেকে ব্যাঙ্ক কর্তা, দিল্লির পাওয়ার লবিতে বিরাট ম্যানিপুলেটর, তাঁর সঙ্গে জ্যোতিরাদিত্ত সিন্ধিয়া, মিলিন্দ দেওরা থেকে যাবতীয় তরুণদের দহরম মহরম আছে, ছিলেন সুধীন্দ্র কুলকার্নি, একসময় কমিউনিস্ট, পরে বিজেপি, তারপরে বিক্ষুব্ধ বিজেপি, এখন চরম বিজেপি বিরোধী, মোদীকে সরিয়ে তবে জল খাবো গোছের ব্যাপার। কলিন গনজালভেস ছিলেন, যিনি হিউম্যান রাইটস আন্দোলনের নেতা। ডঃ অরুণ কুমার, অর্থনীতিবিদ। ঘনশ্যাম তেওয়ারি, সমাজবাদী দলের পক্ষে এবং ছিলেন প্রীতীশ নন্দী, সাংবাদিক, লেখক, বুদ্ধিজীবী। জীবনানন্দের কবিতা ইংরিজিতে অনুবাদ করেছেন। আসলে দিল্লিতে নয়, সারা ভারত জুড়ে প্রশান্ত কিশোর এক নো ভোট টু বিজেপি গোছের কল দিতে চলেছেন, ল্যাবরেটরি ছিল বাংলা, তিনি দেখেছেন যে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রধান শত্রুই পাবে এই প্রচারের সুবিধা, বাংলায় এরকম প্ল্যান তাঁর মাথা থেকে বের হয়নি, কিন্তু এই প্রচার তিনি মন দিয়ে দেখেছেন, এবার তার রেপ্লিকা চাইছেন দেশ জুড়ে। মমতা, তৃণমূলের বিরুদ্ধে হাজার অভিযোগ খড়কুটোর মত উড়ে গেছে, সারা দেশ জুড়ে নো ভোট টু বিজেপির ডাক, রাজ্যে রাজ্যে বিজেপির মূল বিরোধীদেরই সুবিধে দেবে, বাংলায় তৃণমূল জিতবে, অন্ধ্রতে জগন রেড্ডি, রাজস্থানে কংগ্রেস, ইউ পিতে সমাজবাদী দল, বিহারে তেজস্বী, তেলেঙ্গানায় টিআরএস, তামিলনাড়ুতে ডিএমকে, কর্ণাটকে জনতা দল বা কংগ্রেস, ওড়িশায় বিজেডি। মানে বিজেপি বিরোধীতায় যারা নিজেদের দাঁড় করাতে পারবে, তারাই জিতবে। ৩৩০ টা মত আসন আছে যেখানে কং – বিজেপি বিরোধী, রিজিওনাল দলেরা বিজেপি বিরোধীতায় এগিয়ে, বাকি আসনে কংগ্রেস। একটা বড় থিঙ্ক ট্যাঙ্ক তৈরি হচ্ছে এই নো ভোট টু বিজেপি প্ল্যাটফর্মের, সেখানে আগামী দিনে স্বরা ভাস্বর, অনুরাগ কাশ্যপ, জাভেদ জাফরি, থেকে শুরু করে, বহু সাংবাদিক, গায়ক, নায়ক, আমলা, অধ্যাপকরা এসে একজোট হবেন, ২০২৪ দেখবে শ্রমিক কৃষকদের নো ভোট টু বিজেপির ডাক, দেখবে তাদের পাশেই দেশের বহু প্রখ্যাত মানুষদের। এখন সবে সলতে পাকানো শুরু হল। ও হ্যাঁ, বলতে ভুলেছি, এই বৈঠকে সিপিএমের তরফে হাজির ছিলেন, কমরেড নীলোৎপল বসু, তো তিনি বেরিয়ে এসে বলেছেন কিছু বিরোধী নেতারা মিলে ওই মূল্যবৃদ্ধি, কোভিড পরিস্থিতি ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করলেন, হেসে নাও দু’দিন বৈ তো নয়। তা নীলু দা, ওখানে বিজপির কেউ ছিল না, কিন্তু বিজেমূলের যশবন্ত সিনহা তো ছিলেন, বাগে পেয়ে আসলে বিজেপির সহযোগী তৃণমূলের এই নেতাকে, দুটো কড়া কড়া কথা শুনিয়ে দিয়ে এসেছেন তো? মানে পার্টি লাইন তো মেনে চলতে হবে, কী বলেন?

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
বাংলার ৪২ | ঘাটালে কোন দল এগিয়ে?
05:59
Video thumbnail
আজকে (Aajke) | অমিত শাহের ভোট প্রচার মানে মিথ্যের ফুলঝুরি
10:46
Video thumbnail
Fourth Pillar | মোদিজির পায়ের তলায় ধস নামছে, উন্নয়ন নয়, এবার হিন্দু-মুসলমান খেলায় নেমে পড়েছেন
15:25
Video thumbnail
বাংলা বলছে | চাকরি বাতিল, হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকার ও SSC
53:28
Video thumbnail
Politics | পলিটিক্স (24 April, 2024)
15:13
Video thumbnail
Abhishek Banerjee | বিজেপি দলটাকে উঠিয়ে দেব: অভিষেক
10:43
Video thumbnail
নারদ নারদ | তৃণমূলপ্রার্থীর প্রচারে গিয়ে বিরোধী সুকান্তর প্রশংসা! দেবের মন্তব্যে শোরগোল রাজনীতিতে
15:36
Video thumbnail
Stadium Bulletin | Sachin Tendulkar | কালের মন্দিরা 'শচীন'
26:44
Video thumbnail
Sera 10 | ভোটের আগে ভাটপাড়ায় মিষ্টির ড্রামে ৪৭টি তাজা বোমা উদ্ধার
15:20
Video thumbnail
District Top News | দেখে নিন আজকের জেলার গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি
13:56