উরুগুয়ে–০ দক্ষিণ কোরিয়া–০
ফুটবল বিশ্বের দুটি কুলীন দেশের লড়াইয়ের দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা দুনিয়া। এশিয়ার সর্ব কালের সেরা দেশ হল দক্ষিণ কোরিয়া। এই মহাদেশ থেকে এক মাত্র তারাই সেমিফাইনালে উঠেছে। আর গত বিশ্ব কাপে রাশিয়ায় চার বারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে গ্রুপ লিগের ম্যাচে দু গোলে হারিয়ে ছুটি করে দিয়েছে। ওদিকে উরুগুয়ে তো লাতিন আমেরিকার তৃতীয় সেরা দল। ব্রাজিল, আর্জৈন্তিনার পরেই তারা। দু বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ২০১০ সালে তারা সেমিফাইনালে খেলে হেরে যায় নেদারল্যান্ডসের কাছে। সেবার গোল্ডেন বল পেয়েছিলেন তাদের দিয়েগো ফোরলান।’
তাই স্বাভাবিকভাবেই এই ম্যাচটার দিকে তাকিয়ে ছিল সবাই। দু দলে বেশ কয়েকজন বিশ্ব তারকা ছিলেন। দক্ষিণ কোরিয়ার অধিনায়ক সন হিউং মিন তো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের এক বড় তারকা। টটেনহ্যাম হসপারের এই স্ট্রাইকার ই পি এল-এর প্রচুর পুরস্কার পেয়েছেন। এর মধ্যে গোল্ডেন বুটও আছে। আর উরুগুয়েতে আছেন লুই সুয়ারেজ, এডিনসন কাবানি, দিয়েগো গোদিন কিংবা ভালভার্দে। এদের মধ্যে গোডিন এবং ভালভার্দের ভাগ্য খারাপ। কর্নার থেকে গোডিনের হেড পোস্টে লাগল। আর শেষ দিকে দূর থেকে নেওয়া ভালভার্দের শটও লাগল পোস্টে। দুবারই পরাজিত ছিলেন কোরিয়ার গোলকিপার কিম। ফুটবল মহলে একটা কথা খুব চালু যে শট বা হেড বার কিংবা পোস্টে লাগলে সেদিন আর ম্যাচ জেতা যায় না। উরুগুয়ের ক্ষেত্রেও কথাটা খেটে গেল। তবে এই চার তারকার মধ্যে সুয়ারেজ এবং কাবানি এদিন কিছুই করতে পারেননি। গোডিন তাঁর দেশের অধিনায়ক। অতীতে অ্যাটটেটিকো মাদ্রিদের ডিফেন্সের স্তম্ভ ছিলেন। এখনও তিনি দেশের ডিফেন্সের স্তম্ভ। কোরিয়ার আ্যাটাককে আটকাবার মূল দায়িত্ব ছিল তাঁরই। সেই কাজে তিনি একশো ভাগ সফল। কোরিয়া গোল করার কোনও সুযোগ পায়নি। তার একটা বড় কারণ চোট সারিয়ে অনেক দিন পর মাঠে নামলেন সন। মুখে মাস্ক পরে। একটু আড়ষ্ট ছিলেন। ঝুঁকি নিতে চাননি। তাঁকে কখনও বিপজ্জনক মনে হয়নি। বরং অনেক বেশি সচল ছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের ভালভার্দে। কিন্তু সতীর্থদের কাছ থেকে কোনও সাহায্য পাননি। তবে এটা প্রথম ম্যাচ । ক্লাব ফুটবল খেলতে খেলতে প্লেয়াররা এসেছেন। ক দিন গেলে হয়তো আরও মানিয়ে নেবেন টিমের সঙ্গে। এই গ্রুপেই আছে পর্তুগাল। এইচ গ্রুপ থেকে নক আউটে যাওয়ার ব্যাপারে উরুগুয়ে কিন্তু কোরিয়ার থেকে অনেক এগিয়ে। বিস্যুত বারের বারবেলায় ভাগ্য তাদের সঙ্গে ছিল না। তবে রোজ রোজ কি আর ভাগ্যদেবী তাদের বঞ্চনা করবেন? কোরিয়াকে ম্যাচ জিততে হলে সন হিউং মিনের ফর্মে ফেরা খুব জরুরি। সেটা যত তাড়াতাড়ি হয়, কোরিয়ার পক্ষে তত ভাল।