শান্তিনিকেতন: ফের শান্তির জায়গায় অশান্তি। বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ২১ দিন ঘেরাও থাকার পর মঙ্গলবার বাড়ি থেকে বেরোনোর চেষ্টা করার সময় আচমকাই নিরাপত্তারক্ষীদের (Security Guard) সঙ্গে পড়ুয়াদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। পড়ুয়াদের মারধরের অভিযোগ ওঠে। শুরু হয়ে যায় চেয়ার ছোড়াছুড়ি। রীতিমতো অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় শান্তিনিকেতনে।
দীর্ঘদিন ধরে পড়ুয়াদের আন্দোলনের জেরে ফের উত্তপ্ত বিশ্বভারতী৷ এর আগেও দফায় দফায় পড়ুয়াদের সঙ্গে বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষীদের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে। কুড়ি দিনেরও বেশি গৃহবন্দি বিশ্বভারতীয় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী অন্যত্র যাওয়ার জন্য বাসভবন ছেড়ে বের হওয়ার চেষ্টা করলে বাধা পেয়েছেন।
এর আগেও সপ্তাহ দুয়েক আটকে থাকার পর শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লির বাসভবন পূর্বিতা থেকে বেরোতে যান উপাচার্য। সেইসময়ে আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা উপাচার্যকে বাড়ি থেকে বেরোতে বাধা দিয়েছেন বলে অভিযোগ। বিশ্বভারতী সূত্রের খবর, ওই পড়ুয়ারা উপাচার্যের গাড়ির সামনে বসে পড়েন। যার ফলে বিশ্বভারতীর(Visva Bharati) নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে পড়ুয়াদের (Students) ব্যাপক ধস্তাধস্তি শুরু হয়।
ওই ঘটনার পরে আন্দোলনরত পড়ুয়ারা অভিযোগ করেছেন, বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষীর পুলিশের (WB Police) সামনেই তাঁদের মারধর করেছে। মারধর করা হয়েছে এক ছাত্রীকেও। পড়ুয়াদের আরও দাবি, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে পডুয়াদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। অন্যথায় তিনি বাসভবন ছেড়ে অন্যত্র যেতে পারবেন না।
আরও পড়ুন:Biriyani: বিরিয়ানির হাঁড়িতে লাল কাপড় কেন জড়ানো থাকে জানেন?
ধস্তাধস্তির ঘটনার জেরে মীনাক্ষী ভট্টাচার্য নামে আন্দোলনরত এক ছাত্রীর (student) অভিযোগ, তাঁকে ও তাঁর সতীর্থদের মারধর, হেনস্তা করেছে বিশ্বভারতীয় নিরাপত্তারক্ষীরা। প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বেশ কিছু সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সেখানকার পড়ুয়াদের একাংশ দীর্ঘদিন ধরেই সরব। এছাড়া বিশ্বভারতীয় উপাচার্যের প্রশাসনিক পদক্ষেপের পক্ষে মোটেই পাশে থাকছেন না অধ্যাপক-অধ্যাপিকা এবং আশ্রমিকদের একাংশও। এবার পূর্বপল্লীর মাঠেই পৌষ মেলা করতে হবে এই দাবি নিয়ে বিশ্বভারতীতে আন্দোলন শুরু করছিলেন এসএফআই সহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের (SFI) সদস্যরা। সেই আন্দোলনই এখন বেশ গুরুতর আকার নিয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন আশ্রমিকরা।