লন্ডন: বরিস জনসন মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রী হওয়ার পরই তাঁকে নিয়ে ভারতীয়দের মধ্যে তৈরি হয়েছিল কৌতূহল৷ সেই তিনিই এবার কি ব্রিটেন শাসন করবেন? ২০০ বছরের পরাধীনতার অপমান কি তবে এবার খানিকটা হলেও কমতে চলেছে! ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বরিস জনসনের সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার পর এই প্রশ্নটাই এখন লোকমুখে ঘুরছে। ইংরেজ শাসনের বদলার চাকা কি এভাবেই ঘুরতে চলেছে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের ইতিহাসে। যে বাড়ির বাসিন্দা হওয়ার দৌড়ে প্রথম সারিতে রয়েছেন ঋষি সুনক। কনজারভেটিভ পার্টি ৪২ বছরের সুনককে বরিসের উত্তরসূরি বেছে নিলে তৈরি হবে নতুন ইতিহাস৷ তখন এই প্রথম ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের ক্ষমতার রাশ থাকবে ভারতীয় বংশোদ্ভূতের হাতে৷
বৃহস্পতিবার বিকালেই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন বরিস জনসন৷ আপাতত অক্টোবর পর্যন্ত কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলাবেন তিনি৷ এর মধ্যে বরিসের উত্তরসূরি বেছে নেবে কনজারভেটিভ পার্টি৷ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে অনেকেই এগিয়ে আছেন৷ রয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী পেনি মরডয়ন্ট, যিনি করোনার সময় বিপুল জনপ্রিয়তা কুড়োন৷ ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের বাঁচাতে মোটা অঙ্কের আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন তিনি৷ তাই কনজারভেটিভ পার্টির সমর্থকদের অনেকেরই বাজি পেনি৷
পিছিয়ে নেই ঋষি সুনকও৷ অক্সফোর্ড গ্র্যাজুয়েট সুনককে ২০২০ সালে মন্ত্রিসভায় নিয়ে এসে চমক দেন বরিস৷ তাঁকে অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব দেন৷ ধীরে ধীরে বরিসের আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন সুনক৷ তবে দলের প্রাক্তন ডেপুটি চিফ হুইপ ক্রিস পিঞ্চারের যৌন কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার পর বরিসের উপর আস্থা হারান সুনক৷ ঋষি সুনকের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লাইনে রয়েছেন পাক বংশোদ্ভূত সাজিদ জাভিদ, নাধিম জাহাভি, প্রীতি পটেল, লিজ ট্রুস এবং সুয়েল্লা ব্রাভার্মান৷ সুনকের মতো প্রীতিও ভারতীয় বংশোদ্ভূত৷