নিউ ইয়র্ক: ভীষণ অর্থনৈতিক মন্দার দিকে এগোচ্ছে গোটা বিশ্ব। আর তার কারণ হলো মুদ্রাস্ফীতিকে (Inflation) মোকাবিলার করার লক্ষ্যে নেওয়া উচ্চতর ঋণ খরচ (Higher Borrowing Costs)। অর্থাৎ আগামী বছরে ধার নেওয়ার পরিমাণ আরও বাড়তে চলেছে গোটা বিশ্বে। বিদায়ী বছরের অন্তিম লগ্নে দাঁড়িয়ে বিশ্ববাসী যখন নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর অপেক্ষায়, তখনই এই পূর্বাভাস দিলেন সেন্টার ফর ইকনমিক্স অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ (Centre for Economics and Business Research – CEBR)-এর অর্থনৈতিক গবেষকরা।
২০২২ সালে বৈশ্বিক অর্থনীতি (Global Economy) ১০০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। এবারই প্রথম এমন ঘটনা প্রত্যক্ষ করল বিশ্ববাসী। কিন্তু যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, তাতে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের নীতি নির্ধাকদের (Policy Makers) জন্য বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসছে নতুন বছর। তাদের বার্ষিক ওয়ার্ল্ড ইকনমিক লিগ টেবল (World Economic League Table)-এ এমনটাই জানিয়েছে ব্রিটিশ কনসাল্টেন্সি (British consultancy)।
আরও পড়ুন: Katrina Motherhood Speculation: ক্যাটরিনার মা হওয়ার জল্পনা কতটা ঠিক!
সেন্টার ফর ইকনমিক্স অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চের ফোরকাস্টিং ডিরেক্টর এবং প্রধান (Director and Head of Forecasting) কে ড্যানিয়েল নিউফেল্ড (Kay Daniel Neufeld) বলেছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রতিক্রিয়ায় সুদের হার বৃদ্ধির ফলে আগামী বছর বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার সম্মুখীন হতে পারে।”
প্রকাশিত রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, “মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই এখনও শেষ হয়নি। আমাদের প্রত্যাশা, আর্থিক মূল্য সত্ত্বেও, সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কাররা (Central Bankers) ২০২৩ সালেও একইরকমভাবে তৈরি থাকবেন। মুদ্রাস্ফীতিকে আরও স্বস্তিকর স্তরে নামিয়ে আনার মূল্য হল আগামী কয়েক বছরের জন্য খারাপ প্রবৃদ্ধির দৃষ্টিভঙ্গি।”
পূর্বাভাসের এই রিপোর্ট নতুন বছরে অর্থনৈতিক মন্দার অশনি সঙ্কেত দিলেও, বিশেষজ্ঞ মহল কিন্তু আশাবাদী। তাঁদের বক্তব্য, এর আগে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার (International Monetary Fund) যে পূর্বাভাস দিয়েছিল, তার তুলনায় অনেকটাই আশাব্যাঞ্জক। অক্টোবরে আইএমএফ আভাস দিয়েছিল, বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি অর্থনীতি সঙ্কুচিত হবে এবং ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী জিডিপি ২ শতাংশের কম বৃদ্ধি পাওয়ার ২৫ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে। এর অর্থ হল বিশ্বজুড়ে মন্দা দেখা দেবে।