পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা এক সময় তুলনামূলক কম ছিল, ঠিকই। কিন্তু সাম্প্রতিক রিপোর্ট এবং ডেটা থেকে জানা যাচ্ছে খুব কম বয়সী মহিলারাও আক্রান্ত হচ্ছেন হার্ট অ্যাটাকে। সম্পর্কের টানাপড়েন, চাকরি-ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা সহ আরও অনেক কারণে মেয়েদের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এই সব মিলিয়ে মেয়েদের মধ্যে হার্টের অসুখের আশঙ্কাও অনেকটাই বেড়ে যাচ্ছে। তবে লাইফস্টাইলের বদল আনলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের প্রবণতা অনেকটাই কমিয়ে আনা যাবে এমনটাই জানাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। এর পাশাপাশি এই রোগের আগাম সঙ্কেত চিনতে শিখতে হবে। কীভাবে? দেখে নেওয়া যাক কী বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তাঁদের মতে রোগের লক্ষণ জানা থাকলে রোগের মোকাবিলা আরও সহজ হয়।
মহিলাদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের কোন কারণগুলি বেশি দেখা যাচ্ছে
হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকলে মেয়েদের হার্ট ভাল থাকে। কিন্তু আজকাল সামাজিক ব্যবস্থার বদল সহ একাধিক কারণে মহিলাদের হরমোনের ব্যালেন্স নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বাড়ছে বন্ধ্যাত্ব। প্রচুর মহিলা আজকাল ধূমপানও করেন। ফলে হার্টের অসুখের সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়েছে।
যদি কারও পরিবারে ‘করোনারি আর্টারি’ বা ‘ইসকেমিক হার্ট ডিজ়িজ়’-এর ইতিহাস থাকে এবং যদি বুকে কোনও সমস্যা হচ্ছে, রাতে ঘুম ভেঙে যাচ্ছে অস্বস্তিতে, আবার খানিক বাদে সেটা এমনিতেই চলে যাচ্ছে, হাত-পা ফুলছে, নিশ্বাসের কষ্টের মতো কোনও একটি সমস্যাও হচ্ছে, তা হলে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।