লিভারপুল–৩ বেনফিকা–৩
(ইব্রাহিম কোনাতে, রবের্তো ফিরমিনো–২) (র্যামস, ইয়ারেমচুক, নুনেজ)
(দুই দলের প্রথম লেগের ম্যাচে লিভারপুল জিতেছিল ৩-১ গোলে। তাই দ্বিতীয় লেগ ৩-৩ হলেও সব মিলিয়ে ৬-৪ গোলে জিতে সেমিফাইনালে লিভারপুল)
আবার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠল জুরগেন ক্লপের লিভারপুল। তবে তার আগে নিজেদের মাঠ আনফিল্ডে তারা হারাতে পারল না পর্তুগালের বেনফিকাকে। পর পর তিন বার লিড নিয়েও লিভারপুলের জিততে না পারাটা যেমন তাদের ডিফেন্সের দুর্বলতার পরিচয়, তেমনই দুর্দান্ত লড়াকু মানসিকতার পরিচয় বেনফিকার। নিজেদের মাঠে ১-৩ গোলে হেরে যাওয়ার পর বিদেশের মাঠে এসে তাদের এই লড়াইয়ের প্রশংসা সর্ব স্তরেই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোয়ার্টার ফাইনাল জিতে ২০১৯ সালের চ্যাম্পিয়ন এবার সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে সিংহ শিকারী স্পেনের ভিলারিয়ালেরই, যারা নক আউট করেছে বায়ার্ন মিউনিখকে।
পর পর ম্যাচ পড়ে গেছে লিভারপুলের। গত রবিবার তারা ম্যাঞ্চেস্টার সিটির মাঠে গিয়ে খেলে এসেছে প্রিমিয়ার লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। সেই ম্যাচ শেষ পর্যন্ত ২-২ হয়েছে। বুধবার বেনফিকার বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচের পর রবিবার আবার ম্যান সিটির বিরুদ্ধেই এফ এ কাপের সেমিফাইনাল লিভারপুলের। তাই অ্যাওয়ে ম্যাচে ৩-১ এগিয়ে থাকা লিভারপুল কোচ টিমে সাতটা বদল করেন। তাতেই ২১ মিনিটে ফরাসি ডিফেন্ডার ইব্রাহিম কোনাতে যখন আবার গোল করে লিভারপুলকে এগিয়ে দিলেন তখন মনে হয়নি ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত এই রকম রুদ্ধশ্বাস সমাপ্তির দিকে এগিয়ে যাবে। কোনাতের গোলের পর লিভারপুল তখন ৪-১ গোলে এগিয়ে। মনে হচ্ছিল বেনফিকা আর পারবে না। কিন্তু সবাইকে অবাক করে তারা ৩২ মিনিটের মাথায় সমতা ফেরায়। বিরতিতে ম্যাচ ১-১।
কিন্তু বিরতির পর লিভারপুলের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রবের্তো ফিরমিনো ৫৫ এবং ৬৫ মিনিটে পর পর গোল করে লিভারপুলকে এগিয়ে দেন। কিন্তু এর পরেও হার মানেনি বেনফিকা। ৭৩ মিনিটে তাদের ইয়েরেমচুক গোল করে ২-৩ করেন। আর ৮২ মিনিটে ডেভিড নুনেজ আবার গোল করলে ম্যাচ চলে যায় ৩-৩ গোলে। এর পর আর গোল হয়নি। তবে প্রথম লেগে ৩-১ গোলে এগিয়ে থাকার জন্য লিভারপুলই চলে যায় সেমিফাইনালে। এবার ২৭ এপ্রিল লিভারপুল সেমিফাইনালের প্রথম লেগ খেলবে নিজেদের মাঠে। ফিরতি সেমিফাইনাল ভিলারিয়ালের এল মাদ্রিগালে ৩ মে।