জ্ঞানবাপীর পর এবার মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদেও সমীক্ষার (Survey) নির্দেশ দিল স্থানীয় আদালত। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার (ASI) তত্ত্বাবধানে ওই ধর্মস্থানে আগামী ২ জানুয়ারির পর শুরু হবে সমীক্ষার কাজ। আর জানুয়ারির তৃতিয় সপ্তাদের পর জমা দিতে হবে সেই রিপোর্ট।
গেরুয়া শিবিরের অনুগামী সংগঠন হিন্দু সেনার নেতা বিষ্ণু গুপ্ত আদালতের কাছে এব্যাপারে আবেদন করেছিলেন। ওই সংগঠনের নেতাদের দাবি, কৃষ্ণ জন্মভূমির উপর তৈরি হয়েছিল ওই মসজিদ (Masjid)। সেই আবেদনের ভিত্তিতে এই রায় দিয়েছে মথুরার স্থানীয় আদালত (Court)। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২০ জানুয়ারি।
বিষ্ণু গুপ্তের আবেদনে জানানো হয়েছিল, মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের নির্দেশে ১৬৬৯ সালে তৈরি হয়েছিল সেই মসজিদ। কাটরা কেশব দেব মন্দিরের জায়গায়। গত ৮ ডিসেম্বর বিষ্ণুর আইনজীবী শৈলেশ যাদব আদালতের শুনানিতে বলেছিলেন, “মন্দির তৈরির সময় পর্যন্ত যাবতীয় ইতিহাস আদালতে জানিয়েছিলেন বিষ্ণু গুপ্ত। ১৯৬৮ সালে শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান সেবা সঙ্ঘ এবং শাহি ইদগাহের মধ্যে ওই ব্যাপারে যে চুক্তি হয়েছিল তাও বাতিলেরও দাবি তোলা হয়েছে।”
অবশ্য আদালতের সাম্প্রতিক রায়ের আগে মথুরার দেওয়ানি আদালত শাহি ইদগাহ মসজিদের পিটিশন (Petition) খারিজ করে জানিয়েছিল, ১৯৯১ সালের প্লেস অফ ওয়ারশিপ অ্যাক্ট অনুযায়ী এই মামলা গ্রাহ্য নয়। কারণ সেই আইনে জানানো হয়েছিল, ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট দেশে যে ধর্মীয় স্থান (Religious Place) যা অবস্থায় ছিল তার কোনও বদল হবে না। প্লেস অফ ওয়ারশিপ অ্যাক্টের ব্যতিক্রম একমাত্র দেখা গিয়েছিল অযোধ্যা মন্দির-মসজিদ মামলায়। ১৯৯২ সালে অযোধ্যায় ধ্বংস হওয়া বাবরি মসজিদের ব্যাপারে হিন্দুত্ববাদীদের দাবি ছিল, রাম মন্দিরের উপরে তৈরি হয়েছিল ওই মসজিদ।
হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির আবেদনের ভিত্তিতে চলতি বছরের মে মাসে বারণসীর জ্ঞানবাপী (Gyanvapi) মসজিদে সমীক্ষায় অনুমোদন দেয় আদালত। সমীক্ষার ভিডিওগ্রাফিতে ওই মসজিদের ভিতরে একটি জলাশয়ে শিবলিঙ্গের (Shiva Linga) সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল বলেও দাবি করেন হিন্দুত্ববাদারী। আর এই পরিস্থিতিতে শাহি ইদগাহ মসজিদে সমীক্ষার নির্দেশ যথেষ্ট তাৎপর্য্যপূর্ণ বলেই মনে করছে অভিজ্ঞমহল।