দখল করার পরে ইউক্রেনের লাইম্যান অঞ্চল এবার ছেড়ে যেতে বাধ্য হল রুশ সেনাবাহিনী। সামরিক বিশেষজ্ঞদের মত পুতিনের ঘোষণার পরেও রাশিয়ার এই পিছু হটা ক্রেমলিনকে যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলল। শুক্রবার মস্কোয় পুতিন জানিয়েছিলেন, খেরসন, জ়াপোরিঝঝিয়া, ডনেৎস্ক, লুহানস্ক—ইউক্রেনের দনবাস এলাকার এই চারটি অঞ্চল এখন রুশ বাহিনীর দখলে। ওই সব অঞ্চলের বাসিন্দাদের এরপর থেকে রাশিয়ার নাগরিক হিসাবে গণ্য করা হবে।
সম্প্রতি রাশিয়ার তরফে ঘোষণা করা হয় ইউক্রেনের (Ukraine) ওই চারটি এলাকায় গণভোট করা হবে। যে সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করে বিবৃতি দেয়, ইউক্রেন ও গোটা পশ্চিমী দুনিয়া। এরপরেই শুক্রবার পুতিন জনিয়ে দেন, ইউক্রেনের ওই চারটি এলাকার বাসিন্দারা গণভোটে তাঁদের পছন্দের কথা জানিয়েছেন। এটা অসংখ্য মানুষের ইচ্ছা। পুতিনের আরও দাবি, ওই অঞ্চলের বাসিন্দাদের রাশিয়ার প্রতি আবেগ রয়েছে। আর এই সংযুক্তিকরণ স্থায়ী বলেও দাবি করেছিলেন তিনি।
কিন্তু লাইম্যান থেকে রুশ সেনাবাহিনী পিছু হটার পরে পুতিনের ওই দাবি নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ দানা বেঁধেছে। কারণ সংবাদসংস্থা জানাচ্ছে, ইতিমধ্যে এই চার অঞ্চলের বেশ কিছু অংশ যুদ্ধ করে পুনরুদ্ধার করেছে ইউক্রেন। দেশের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এই সংযুক্তিকরণ নিয়ে রাশিয়া আর এগোলে যোগ্য জবাব দেবেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে পুতিন-ঘনিষ্ঠ চেচনিয়ার নেতা রামজান কাদিরভ ডানিয়েছেন তাঁর পরামর্শ পরমাণু যদ্ধের রাস্তা বেছে নিক রাশিয়া।
পাশাপাশি ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের যে চারটি অংশ রাশিয়া দখল করেছে বলে দাবি করা হচ্ছিল সেগুলিতে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে গেলে লাইম্যান অঞ্চলটি রুশ সেনার হাতে থাকা জরুরি ছিল। মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু চারদিক থেকে ঘিরে ফেলা ইউক্রেন বাহিনীর দাপটে পরিস্থিতি এমন যে লাইম্যান এলাকা থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে আসা পুতিনের বাহিনীর পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না। নিরাপদে বেরিয়ে আসার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রুশ সেনা। ইউক্রেনের কাছে এজন্য কাতর বার্তাও পাঠানো হয়েছিল রুশ সেনার তরফে। কিন্তু সে প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে ইউক্রেন।